সংবাদদাতা, খেজুরি : ১০০ দিনের কাজের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তা শিবিরগুলোতে হামলার পর, এবার সমুদ্রসাথী প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের যুক্ত হওয়া থেকে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে পদ্ম শিবিরের গুন্ডাবাহিনী। কিন্তু গুন্ডা দিয়ে উন্নয়ন রুখতে পারবে না বিজেপি। সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়নের ডাকে, খেজুরি ২ ব্লকের নোনাপাতায় বৃহস্পতিবারের সভায় মৎস্যজীবীদের আসতে বাধা দেয় ‘গদ্দার’ অধিকারীর বাহিনী।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, অযোগ্যদের টাকা বিলি: অভিযোগ সিএজি রিপোর্টে
বৃহস্পতিবার কর্মিশিবিরে এভাবেই বিজেপির ওপর একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপির অনুন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। বলেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য এমন কোনও প্রকল্প নিতে পারছে না কেন? সন্ত্রাস না করে তারা উন্নয়নের চিন্তা করতে পারছে না কেন? আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক উন্নয়ন দেখে তারা ভয় পেয়েছে। এদিন খেজুরির নোনাপাতার এই সভায় মৎস্যজীবীদের ভিড় উপচে পড়ে। পূর্ব মেদিনীপুরে মৎস্যজীবীদের মোট ৪২টি খটি রয়েছে । গত ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি এই খটিগুলিতে ক্যাম্প করেছে সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়ন। সমুদ্রসাথী প্রকল্পে যাতে কোনও মৎস্যজীবী বাদ না পড়েন, তার জন্য এই ক্যাম্পগুলোতে ইউনিয়ন থেকে সহায়তা করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই এদিনের সভা নিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় ছিলেন মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, বিধায়ক উত্তম বারিক, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা, রাজ্য আইএনটিটিইউসি সহ-সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিকাশ বেজ, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর প্রমুখ।