প্রতিবেদন : কালনা ১ ব্লকের নতুনগ্রাম ও ঘুঘুডাঙার মাঝে গুরজুয়ানি নদীর উপর বাঁশের সেতু পাকা করার বাসিন্দাদের অনেক দিনের দাবি এবার পূরণ হবে। এই কারণে বুধবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় দাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা, বিডিও সুপ্রতীক সাহা। দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা পড়বে। দুই গ্রামের মাঝে গুরজুয়ানি নদীতে রয়েছে একটি বাঁশের সেতু।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির পর আলুতে ধসা, ক্ষতির আশঙ্কা ঝাড়গ্রামের চাষিদের
কালনা গাবতলা এসটিকেকে রোড থেকে নতুন গ্রাম হয়ে বাঁশের সেতু পেরিয়ে ৬ কিমি গেলেই কালনা বর্ধমান রোডের মধুপুর মোড়। বাঁশের সেতু হওয়ায় বাইক ছাড়া চার চাকার ভারী যান যাতায়াত করতে পারে না। অতীতে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। নান্দাই গাবতলা থেকে গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, সেতুটি পাকা হলে ৬ কিমি দূরত্ব কমবে। নদীর ওপারে রয়েছে মেদগাছি উচ্চ বিদ্যালয়, মুড়াগাছা গভঃ কলেজ। এপারে নতুন গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়। বাসিন্দাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেন। পূর্ত দফতর তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই সেতুর এলাকা পরিদর্শন ও মাপজোক করে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৫ মিটার পাকা সেতু তৈরি হবে। সঙ্গে লিঙ্ক রোড। খরচ পড়বে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মন্ত্রী বলেন, গুরজুয়ানি নদীর উপর পাকা সেতু তৈরি হলে নান্দাই এসটিকেকে রোড ও কালনা-বর্ধমান রোডের মধুপুর মোড় পর্যন্ত যাতায়াত সহজ হবে। এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন। তৃণমূল সরকার আসার পর ঘুঘুডাঙা, নতুনগ্রাম সহ আশপাশের প্রায় সব রাস্তা পাকা ও ঢালাই হয়েছে।