বৃষ্টির পর আলুতে ধসা, ক্ষতির আশঙ্কা ঝাড়গ্রামের চাষিদের

কৃষি দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনপুর ১ ব্লকের নেপুরা, বেলাটিকরি, সিজুয়া এই তিন অঞ্চলে আলু চাষে ধসা রোগ লেগেছে।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে বিনপুর ১ আলু চাষের ক্ষেত্রে অন্যতম। কিন্তু আলু চাষে ধসা রোগ দেখা দেওয়ায় এখানকার কৃষক মহলে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ার পর ফের আলু লাগিয়ে ধসা রোগের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে গাছগুলিতে ছোট ছোট আলু এসেছে। কিন্তু ধসা লাগায় গাছগুলি নষ্ট হয়ে মরে যাচ্ছে। এই অবস্থায় দুবার চাষ করে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা।

আরও পড়ুন-রাজ্যের মানুষের ভরসা মুখ্যমন্ত্রী , বিপাকে পড়া পরিবারগুলির পাশে তৃণমূল

কৃষি দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনপুর ১ ব্লকের নেপুরা, বেলাটিকরি, সিজুয়া এই তিন অঞ্চলে আলু চাষে ধসা রোগ লেগেছে। ফলে সদ্য আলু আসা গাছগুলিও পচে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানাচ্ছেন, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তাঁরা আলু লাগিয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির ফলে সেই সব গাছ নষ্ট হয়ে যায়। পরে তাঁরা আবারও আলু লাগান। বিঘা-পিছু আলু চাষে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা বলে জানান কৃষকরা। দ্বিতীয়বার আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখার আশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলেছে ধসা রোগ। ইতিমধ্যে কৃষি দফতরে অভিযোগও জমা পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত ওই সব অঞ্চল পরিদর্শন শুরু করে কৃষি দফতর। ক্ষতির হার কতটা সে বিষয়ে কৃষকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ চলছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের পর ক্ষতির পরিমাণ কত তা বোঝা যাবে বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। কৃষি দফতর জানিয়েছে, কেবলমাত্র বিনপুর ১ ব্লকেই আলু চাষ হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নেপুরা। ঝাড়গ্রাম জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (তথ্য) সুকুমার কিস্কু বলেন, ‘বিনপুরের তিনটি অঞ্চল থেকে ধসা রোগ লাগার অভিযোগ পেয়েছি। হঠাৎ গরম পড়ে যাওয়ায় এই রোগ। ক্ষতির পরিমাণ জানতে দফতরের কর্মীরা অকুস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন।’

Latest article