প্রতিবেদন : ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা পেল সেরার শিরোপা। এবার মিড-ডে মিলে (Mid day meal)। যে বিজেপি সরকার বাংলার ন্যায্য বকেয়া আটকে রেখেছে, তারাই জানিয়ে দিল মিড-ডে মিলে বাংলাই মডেল। গোটা দেশে এই মডেলই অনুসরণ করা উচিত।
সম্প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যের মিড-ডে মিল (Mid day meal) নিয়ে ঢালাও প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প দেশের সেরা হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। যে মিড-ডে মিলে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটা সময় দেগে দেওয়া হয়েছিল, সেই মিড-ডে মিলই প্রশংসিত হল কেন্দ্রের কাছে। বাংলার মিড-ডে মিলকেই মডেল মানল কেন্দ্র। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মিড-ডে মিল প্রোগ্রাম এবং তা চালানোর মডেলকে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের সরকারের উন্নয়নের মডেল আরও একবার প্রমাণিত হল। কিছুদিন আগের কেন্দ্রীয় দলের অপপ্রচার এবং বিরোধী কুৎসা আবার একবার ভুল প্রমাণিত হল। অশোকস্তম্ভের তলার লেখাটাই আবার প্রতিষ্ঠিত হল। সত্যমেব জয়তে।
আরও পড়ুন-অম্রুত প্রকল্প: কেন্দ্রের সেরা স্বীকৃতি পেল বাংলা, পুরস্কার পাচ্ছে রাজ্যের ১১ পুরসভা
দিল্লিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে মিড-ডে মিলে টাকার ব্যবহারে রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বিজেপির করা দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রের আধিকারিকরা রাজ্যের মডেলকেই মান্যতা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের জন্য টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। এবার সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্যের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই খাতে মোট চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের জন্য। স্কুলের পরিকাঠামো ও মিড-ডে মিলের ব্যয় নির্মাণে ব্যবহার হবে এই টাকা। বিজেপির রাজ্য নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যের জন্য টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। প্রমাণিত হল বাংলা মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে। এর আগে মিড-ডে মিলের টাকার হিসেব দেওয়ার নিরিখেও বাংলা এগিয়ে ছিল বিজেপির তথাকথিত ডাবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলির তুলনায়।