৩৫ ফুটের মহাকাল ভৈরব

Must read

কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু কালীপুজো সুতি বংশবাটি গ্রামের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এক দেবতার আগমনে অজস্র দেবদেবীর আবাহন। দুর্গা থেকে সরস্বতী বা অন্নপূর্ণা। কার্তিক অমাবস্যায় মহাকাল ভৈরবের পুজোর সময় এই জনপদে অন্তত পাঁচ শতাধিক দেবদেবী পুজো পান। সব পাড়াতেই কোনও না কোনও পুজো। একদিনের জন্য অন্যরকম উৎসব মুর্শিদাবাদের সুতির বংশবাটিতে। বংশবাটি কৃষিপ্রধান এলাকা হিসাবে পরিচিত। গ্রামের কয়েকহাজার মানুষ কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিকে তাকিয়ে থাকেন। কারণ তখন গ্রামে হয় মহাকাল ভৈরবের পুজো। আর এই পুজো ঘিরে প্রত্যেকের বাড়িতে বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা। মনসা ও বিশ্বকর্মা বাদে সমস্ত দেবদেবী এই ধরাধামে পুজো পান। কোনও পাড়ায় হরপার্বতীর পুজো হয়, কোথাও অন্নপূর্ণা, কোথাও আবার ব্রহ্মার। মহাকাল ভৈরবকে সম্মান জানতে তাঁর মূর্তি সবথেকে বেশি উঁচু করা হয়। এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা স্থানীয় হাওয়া ক্লাব।

আরও পড়ুন : গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে শহর উন্নয়নের ব্লুপ্রিন্ট শোভনদেবের

এবছর তা চুয়াল্লিশ বছরে পড়ল। ৩৫ ফুটের মহকাল ভৈরবের মূর্তি গড়ার কাজ চলছে জোরকদমে। মূর্তি তৈরিতে বিচুলি বা খড় লেগেছে ৬ হাজার আঁটি, সুতলি ৯০ কেজি, ধানের তুষ ২ কুইন্টাল, বাঁশ লেগেছে তিরিশটি এবং পাঁচ গরুর গাড়ি মাটি ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিমা গড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা কনক মাঝি। গ্রামের পুজো বলে বিনা পারিশ্রমিকে শিল্পী মূর্তি বানাচ্ছেন। পুজোর বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। কালীপুজোর রাতে যজ্ঞের সঙ্গে ধুমধাম করে পূজিত হন বংশবাটি গ্রামের মহাকাল ভৈরব। প্রথমবার প্রতিমার উচ্চতা ছিল মাত্র ২ ফুট। মহাকাল ভৈরবের পুজো তখন হয়েছিল রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে। তারপর ক্লাব কর্তারা মতবদল করেন। একলাফে ৩৫ ফুটের মূর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে একই মাপের প্রতিমা গড়ে মহাকাল ভৈরবের পুজো হয়ে আসছে।

Latest article