কৃষক বিক্ষোভের কারণে টানা ১৪ দিন হরিয়ানার ৭টি (Haryana- Internet) জেলায় বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট, ভয়েস কল, এসএমএস চালু থাকলেও বন্ধ ছিল বাল্ক এসএমএস। অবশেষে রবিবার সকাল থেকে এই পরিষেবা চালু করা হল। আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইঠাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসাত জেলাগুলিতে চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় শান্তি-নিরাপত্তার দিকটি দেখে এই পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। তবে কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান আপাতত স্থগিত হওয়ায় জেলাগুলিতে ইন্টারনেট (Haryana- Internet) পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। তবে এদিকে, দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত হলেও শম্ভু-খানৌড়ি সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত। রবিবার দিনভর দুই সীমানায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-র প্রকল্পের উপর সম্মেলন করেছেন কৃষকরা। যেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, কৃষিক্ষেত্রকে ডব্লিউটিও থেকে বাইরে রাখতে। সোমবার গোটা দেশজুড়ে এই দাবিতে আন্দোলন চলবে। দুই সীমানায় ২০ ফুটের বেশি উঁচু কুশপুতুল দাহ করা হবে। আগামী দু’দিন বিভিন্ন কৃষক সংগঠন নিজেদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকদফায় আলোচনা করে বৃহস্পতিবার নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন- শুরুর দু’ঘণ্টা আগে বাতিল আইএসসি-র কেমিস্ট্রি পরীক্ষা
প্রসঙ্গত, এমএসপি-র দাম বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের কয়েকদফায় আলোচনা হলেও নিজেদের অবস্থান তুলতে নারাজ তাঁরা। এর মধ্যে ৪ জন কৃষকের মৃত্যুও ঘটেছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আবারও নিজেদের পরবর্তী আন্দোলন শুরু করবেন কৃষকরা।