প্রতিবেদন : আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে ধরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। রাজধর্ম পালন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কারও করা হয়েছে, এমনকী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে। এর আগেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সন্দেশখালিতে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে রেয়াত করা হয়নি। বিজেপির যেসব নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ও দলবদলু গদ্দারদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ রয়েছে এজেন্সি তাদের কবে গ্রেফতার করবে? এর জবাব দিক বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের দিকে আয়না ধরুক তারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রশ্ন, শাহজাহান তো গ্রেফতার হল। এবার নারদা মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা দলবদলু গদ্দারকে গ্রেফতার করুক এজেন্সি। করছে না কেন? কবে করবে? অ্যালকেমিস্ট নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি। তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিল জাত গোখরো মিঠুন চক্রবর্তী, তাকে গ্রেফতার করুক! করছে না কেন? মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন-হয়রানি করার পরেও বিজেপির ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেন? বহাল তবিয়তে রয়েছে সে। কেন? বিজেপির পুলিশ কী করছে? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কলকাতায় এসে এত বড় বড় কথা বলে গেলেন, দেশের ব্যাঙ্কগুলো থেকে যারা টাকা লুটে পালিয়ে গিয়েছে তাদের গ্রেফতার করুক সরকার। মেহুল চোকসি, নীরব মোদিদের কবে গ্রেফতার করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? এই উদাহরণগুলি তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, আগে বিজেপি এগুলির উত্তর দিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করেছে। এবার বিজেপি এই অপরাধীদের গ্রেফতার করে দেখাক।
আরও পড়ুন-অস্ত্রোপচারের পর থেকেই দীর্ঘ অন্তরালে কেট, বাড়ছে ধোঁয়াশা
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বলেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজধর্ম পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, মোদিজি তা পারবেন তো? তিনি পারবেন কাল বা পরশু নারায়ণ রানে, হেমন্ত বিশ্বশর্মা বা রাজ্যের দলবদলু গাদ্দারকে সাসপেন্ড করতে? পারবেন না, কারণ বিজেপি তৃণমূল নয়।