প্রতিবেদন : দেশের ব্যাঙ্কগুলির থেকে লক্ষ-কোটি টাকা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে ভাগলবা বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা। অথচ লোকসভা ভোট আসতেই ভোট ভিক্ষা করতে বাংলায় হাজির প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের সভায় প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে ধুয়ে দিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-শিল্পে নয়া উদ্যোগ, রাজ্যের বন্ধ সংস্থার জমি অন্যদের
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ভুয়ো জবকার্ড মন্তব্যকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বাংলায় ১০০ দিনের কাজ করিয়েও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ৫৯ লক্ষ বঞ্চিত জবকার্ড হোল্ডারকে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অথচ সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জবকার্ড পাওয়া গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। সেই যোগীরাজ্যের ১০০ দিনের টাকা আটকায়নি কেন্দ্র। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, দিশাহীন কথাবার্তা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, কুৎসা করছেন। সিএএ নিয়ে কুমিরছানা দেখানোর মতো নোংরা রাজনীতি চলছে। এই রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য অমঙ্গলের রাজনীতি। রোটি-কাপড়া-মকানের উন্নয়ন দিতে ব্যর্থ বিজেপি। তাই নজর ঘোরাতে কখনও ধর্মের কার্ড, আবার কখনও এনআরসি, সিএএ-এর ভয় দেখাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ১০০ দিনের টাকা নিয়ে কেন বাংলার মানুষকে কৈফিয়ত দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী? ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বাংলাকে পুরস্কার দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে টাকাটা কেন আটকে রেখেছেন, সেই প্রশ্নের জবাব দিন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, মোদি-চোকসিরা লক্ষ-কোটি টাকা জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি মোদি সরকার। আবার নারদাকাণ্ডে যে গদ্দার অধিকারীকে সবাই টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখল, সেও মোদির হাতে-পায়ে ধরে বিজেপিতে ঢুকে গেল, তার বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। আর এখন বাংলায় এসে বড় বড় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।