সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : বিজেপি যে শুধু ভোটের সময়ের মানুষের মন ভোলাতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয় তা আবারও প্রমাণ হল আলিপুরদুয়ারের সাংসদের কর্মকাণ্ডে। বিগত লোকসভা ভোটের প্রচারে, আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের পরোরপার ও তপশিখাতা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝে বয়ে যাওয়া কালজানি নদীর ওপর পাকা সেতু তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির জন বারলা। কিন্তু ভোটে বারলা জিতলেও সেতু তো দূরের কথা, ওই এলাকামুখো হননি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর উদ্যোগে ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে বিদ্যুৎ
যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে দুই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাটকাপাড়া চা-বাগানের মানুষ। তাই এবার লোকসভা ভোটের আগে স্থানীয় মানুষ প্রশ্ন তুলছে কেন সেতু হয়নি? আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের কাছেই কালজানির এক পাড়ে পরোরপার পঞ্চায়েত। আর নদীর অপর পাড়ে তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েত। বর্ষায় ভরা নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা নৌকা। জেলা সদরের এত কাছে অবস্থিত হয়েও, বছরভর যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় মানুষদের। কালজানিতে সেতু না থাকায় তপসিখাতার মানুষ কৃষিজ ফসল বিক্রি করতে আলিপুরদুয়ার কৃষক বাজারেও আসতে পারে না ঠিকমতো। তাই এবার স্থানীয় মানুষ তৈরি হয়ে রয়েছে, এই এলাকায় ফের ভোট চাইতে এলে জন বারলার কাছে কৈফিয়ত দাবি করা হবে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, মানুষ জন বারলার ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে। মানুষ ভোটেই এবার এই ভাঁওতাবাজির জবাব দেবে। তিনি বলেন, মানুষের দাবি নিয়ে সাংসদ কখনওই চিন্তিত নন। উন্নয়ন ওদের কাজ নয়, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এই রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে তা সবাই দেখছে। উল্লেখ্য, মানুষকে ঠকিয়ে একের পর এক ভোট কিনেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-নজির গড়তে চলেছে ভারত, মহাকাশে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ইসরো
সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী হওয়ার পরে এলাকায় নেতা মন্ত্রীদের টিকিও পাওয়া যায়নি। এর ফলে রাজ্যে একটিও বিজেপির উন্নয়নের চিহ্ন চােখে পড়ে না। ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ যে লোকসভার ভোটবাক্সে এর জবাব দেবেন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।