মহিলাদের স্বেচ্ছা গর্ভপাতের (abortion a constitutional right) অধিকারকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স। মহিলাদের শরীর নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্য কারোর নেই। নিজেদের গর্ভপাতের বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মহিলারাই। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটার বলেন, “বিশ্বের এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আমরা সমস্ত মহিলাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি যে, আপনার শরীর আপনার এবং কেউ আপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।”
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বাধা, ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় প্রতিবাদের টর্নেডো হবে, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
গর্ভপাতের (abortion a constitutional right) অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বের কাছে বিশেষ বার্তা দিল ফ্রান্স। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বিষয়টি নিয়ে সোমবারই ফ্রান্সের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে যৌথ ভোটাভুটি হয়। গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৭৮০টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৭২টি। ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৭৪ সালে এই বিষয়ে আইনও প্রণয়ন হয়েছে। কিন্তু তারপরে ডানপন্থীদের চূড়ান্ত বিরোধীতায় বিষয়টি এগোয়নি। সমীক্ষায় দেখা যায় ৮৫ শতাংশ মানুষ মহিলাদের এই অধিকার দেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করেছেন। গ্যাব্রিয়েল সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আইফেল টাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে মহিলাদের উল্লাস করতেও দেখা যায়।