সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ প্রথম দিন লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে দলের কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে পড়লেন। ষাঁড়েশ্বরের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করতে তিনি বিজেপি বুথ সভাপতি কাজল লোহারের বাড়ি যান। সেখানে যে তাঁকে দলের ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের হাতেই চরম অস্বস্তিতে পড়তে হবে সেটা তিনি ভাবতেই পারেননি।
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের পক্ষে বড় রায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের
ডিহর গ্রামের মানুষ তাঁকে পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাঁচ বছরে তো কোনওদিনই আপনাকে এলাকায় দেখিনি। আজ ডুমুরের ফুলের মতো ফের ভোট চাইতে এসেছেন? এই কথার কোনও সদুত্তর তাঁর কাছে না থাকায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু এর পরেও বুথ সভাপতির বাড়ির লোক তাঁদের ঘর দেখিয়ে বাড়ি না পাওয়া ও ১০০ দিনের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘আপনারা টাকা না দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের টাকা দিচ্ছেন।’’ সাংসদ বলেন, ষাঁড়েশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে প্রতিবারই ভোটে জিতেছি। এবারও জিতব। কিন্তু ডিহর গ্রামের মানুষ তাঁকে মুখের উপর বলে দেন, আগেও আপনি মাথা মুড়িয়ে বাবা ষাঁড়েশ্বরকে সাক্ষী রেখে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন আমরা তা দেখেছি। আর্কিওলজি দফতরের তৈরি মন্দিরকে আপনি নিজে করিয়ে দিয়েছেন বলেছিলেন। এই সব মিথ্যা এলাকার মানুষ সবাই জানেন। এর পর তিনি আক কোনও জবাব খুঁজে পাননি। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন,‘‘মানুষ আবাস যোজনার টাকা না পেয়ে আজ গৃহহীন। গ্রামের মানুষ শ্রম দিয়েও ১০০ দিনের প্রাপ্য মজুরি পাননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই তাঁদের দাঁড়িয়ে ওই টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। বিপদে সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে দলের কর্মীরাই কাছে পাননি তো মানুষ কী করে পাবেন।’’ ডিহরের বিজেপির বুথ সভাপতি জানান, আমার মায়ের মৃত্যুর সময় শ্মশানযাত্রার সামান্য খরচ চেয়েছিলাম। কিন্তু তা পাইনি। আবাস তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি পাইনি। বিজেপি কর্মী প্রশান্ত পাল বলেন, আমরা ওঁকে ভোটে জিতিয়ে এনেছি। কিন্তু কোনওদিনও গুরুত্ব পাইনি। এখন ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলে আমাদের আবার দরকার পড়েছে। তাই এখানে ছুটে এসেছেন।