প্রতিবেদন : ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ১০ মার্চ হতে চলেছে পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় ব্রিগেড। জনগর্জনের ব্রিগেড। যার প্রস্তুতি তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার তারই প্রস্তুতি ঘুরে দেখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যান গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও। যেখানে জেলা থেকে এসে থাকবেন ২০ থেকে ২৫ হাজার কর্মী-সমর্থক। বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে গর্জে উঠবে ব্রিগেড। দেশ থেকে বিজেপিকে হটানোর ব্রিগেড।
আরও পড়ুন-অভিষেককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
জনগণের ব্রিগেড থেকেই লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে বিজেপিকে হটানোর ডাক দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেখান থেকে মাঠের চারপাশে থাকছে ৩০০ ফুট লম্বা র্যাম্পও। যা ব্রিগেডে এই প্রথম। তিনটি মঞ্চ মিলিয়ে থাকবেন প্রায় ৬০০ নেতা-নেত্রী। তৃণমূলের প্রতীক জোড়াফুলের আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চ থেকে অনেকটা দুরে বসতে হয় কর্মী-সমর্থকদের। ফলে মঞ্চে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ মেলে না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক, সকলকেই ধরাছোঁয়ার মধ্যে পাবেন ব্রিগেডের জনতা। তৃণমূল সূ্ত্রে খবর, ১০ মার্চ মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় র্যাম্প দিয়ে হেঁটে ব্রিগেডের একেবারে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-অভিষেককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
এই র্যাম্পের মাধ্যমে মমতা-অভিষেক তাঁদের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাবেন মানুষের কাছে। শুধু বাংলা নয়, ভিন রাজ্য থেকেও আসছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রিপুন ভোরা, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ, লোলিতেশ ত্রিপাঠী, শত্রুঘ্ন সিনহা-সহ থাকছেন নেতা নেত্রীরা। এদিন সন্ধ্যায় মূল মঞ্চ-সহ র্যাম্প খতিয়ে দেখেন অভিষেক। মঞ্চের দায়িত্বে যাঁরা আছে, তাঁদের দিলেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। কথা বললেন নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন তাঁদের সঙ্গেও। ভিক্টোরিয়ার দিকে পিছন করে অর্থাৎ ব্রিগেডের দক্ষিণ দিকে বাঁধা হয়েছে বিশালাকার মঞ্চ। সমান্তরাল আরও দুটি মঞ্চ। মূল মঞ্চ থেকে মাঠের উত্তর দিকে প্রায় ৩০০ মিটারের র্যাম্প। পূর্ব-পশ্চিমেও ১০ মিটারের র্যাম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় মাইক্রোফোন হাতে চলে যেতে পারবেন জনতার মাঝে। ব্রিগেড ঘুরে এদিন কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে যান অভিষেক। যেখানে মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন তিনি।