আফগানিস্তান ১২৪-৮ (২০ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ১২৫-২ (১৮.১ ওভার)
আবুধাবি : বিশ্বকাপ মঞ্চে দুই বিদেশি দলের লড়াই নিয়ে এর আগে এত হাইপ উঠেছিল কি না সন্দেহ! খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সমর্থকরা হঠাৎ আফগানিস্তানের সমর্থক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এত সমর্থনও নবি-রশিদ-জারদানদের জেতাতে পারল না। রবিবাসরীয় বিকেলে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারল তাঁদের দল। তবে এই হারে শুধু আফগানিস্তানই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল না, বিদায় নিতে হল ভারতকেও। নিউজিল্যান্ড জিতে সোজা চলে গেল শেষ চারে। আগেই এই গ্রুপ থেকে নক আউটে গিয়েছিল পাকিস্তান। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট দল দাঁড়াল পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন-পরের বিশ্বকাপেও খেলতে চাই : গেইল
জেতার জন্য ১২৫ রানের টার্গেট রেখেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু এই উইকেটে এটা কোনও বড় রানই ছিল না। তা সে যতই আফগানরা দু’দিক থেকে স্পিন দিয়ে আক্রমণ করুক। এর মধ্যেই ২৬ রানে ওপেনার ড্যারিল মিচেলকে (১৭) হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৫৭-তে দ্বিতীয় উইকেট মার্টিন গাপ্টিলের (২৮)। কিন্তু এতে একবারও মনে হয়নি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কোনও অঘটনের আবহ প্রস্তুত হচ্ছে। যেহেতু বাইশ গজের উল্টোদিকে এমন একজন দাঁড়িয়েছিলেন, যিনি এসব পরিস্থিতিতে দলকে বের করে আনতে অভ্যস্ত। ইনি কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ১১ বল বাকি রেখে কিউয়িরা যখন আফগানিস্তানের রান টপকে গেল, উইলিয়ামসন ৪২ বলে ৪০ রান করে নট আউট রয়েছেন। হাতেগোনা গোটা তিনেক চার। বাইশ গজ আগলে জয় নিশ্চিত করে তবেই বেরিয়ে এলেন তিনি। সঙ্গী কনওয়ে নট আউট ৩৬ রানে। সুনীল গাভাসকর বলেছিলেন, এই ম্যাচ হয়তো সবথেকে বেশি লোক দেখবে। পরিস্থিতি তাই ছিল। আবুধাবিতে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিন্তু না থেকেও গোটা ম্যাচ জুড়ে ছিল ভারত। গ্রুপ স্টেজের অবস্থা সেরকমই দাঁড়িয়েছিল। ভারতীয় সমর্থকরা তাকিয়েছিলেন নবি-রশিদদের দিকে। যেন ভারতের জন্যই জিততে হবে আফগানিস্তানকে। কিন্তু তাঁরা সেটা পারেননি।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ দূষণের জেরে দিল্লির হাসপাতালে বাড়ছে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীর সংখ্যা
মহম্মদ নবি টসে জিতে আগে ব্যাট করতে চাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। মরুদেশের তিনটি ভেনুতেই এবার যারা টস জিতেছে, তারা সুবিধা পেয়েছে। পরের দিকে উইকেট সহজ হয়ে আসছে। কিন্তু নবি আগে ব্যাট নিলেও ১৯ রানের মধ্যে আফগানিস্তান তিন উইকেট হারিয়ে যে গাড্ডায় পড়েছিল, তা থেকে তারা আর বেরোতে পারেনি। ওপেনার হজরত জাজাইয়ের উপর অনেক আশা ছিল। তিনি বোল্টকে উইকেট দিয়ে গেলেন ২ রান করে। মহম্মদ শেহজাদও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। রহমানউল্লাহ গুরবাজও ৬ রান করে ফিরে গেলেন টিম সাউদির বলে। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে ২৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। ম্যাচের ভাগ্য তখনই পরিষ্কার। সাউদি দুই আর বোল্ট তিনটি উইকেট নিয়ে এদিন আফগানিস্তানকে সেই যে চাপে ফেলে দিলেন, সেখান থেকে তারা আর বেরোতে পারেনি। তবু ২০ ওভারে আফগানিস্তান ১২৪ রানে পৌঁছতে পেরেছে পাঁচে নামা নাজিবুল্লাহ জারদানের সৌজন্যে। ৪৮ বলে ৭৩ রান করে গেলেন তিনি। ছ’টি চার, তিনটি ছক্কা। গোটা দল যখন কিউয়ি বোলারদের আক্রমণে কুঁকড়ে ছিল, তখন জারদান পাল্টা মার দিলেন কিউয়ি বোলারদের। তাঁর আর নবির জুটিতে উঠে এল ৫৯ রান। না হলে একশো পার হত না তাঁদের দল।