প্রতিবেদন : সিএএ লাগু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টালমাটাল গোটা দেশ। রাজ্যে রাজ্যে অস্থির পরিস্থিতি। জ্বলছে বিজেপির অসম। সামাল দিতে ব্যর্থ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। বন্ধ ডাকা হয়েছে অসম জুড়ে। ১৬টি দল এই বন্ধ ডেকেছে। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাতেই প্রতিবাদ করেছিলেন। আর মঙ্গলবার হাবড়া এবং শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, বাংলায় সিএএ লাগু হবে না।
আরও পড়ুন-১৫ মার্চ থেকে রাজ্য জুড়ে তফসিলি সংলাপে তৃণমূল, নজরুলমঞ্চে প্রচার শুরু অভিষেকের
প্রয়োজনে প্রাণ দিতে প্রস্তুত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মামলাও হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পথে হেঁটেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন সাফ জানিয়েছেন, নির্বাচনে ডুবতে চলেছে বিজেপি। সেটা বুঝেই এসব চালাকি। ধর্মের জিগির। তামিলনাড়ু মানছে না। দক্ষিণের অভিনেতা থালাপতি বিজয় প্রকাশ্যে এসে সিএএ-র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। অভিনেতা কমল হাসনও প্রতিবাদে মুখর। কেরলও মানবে না সিএএ। রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে। উত্তর-পূর্বের মণিপুর-মেঘালয় থেকেও আওয়াজ উঠেছে কেন্দ্রের এই সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ মানবে না রাজ্য। আজ, বুধবার দুটি রাজ্যেই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য ত্রিপুরাও উত্তপ্ত। সব মিলিয়ে সিএএ নিয়ে গোটা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল। বাংলার পথ ধরে একের পর এক রাজ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।