প্রতিবেদন : ভোটের বাদ্যি বাজতেই রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী (TMC Candidate ) ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা যেখানে হন্যে হয়ে এখনও প্রার্থী খুঁজতে ব্যস্ত, সেখানে প্রচারের পয়লা রাউন্ডেই অনেক এগিয়ে তৃণমূল। এ-রাজ্যে ছন্নছাড়া তৃণমূল-বিরোধীরা কেউই সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। আর প্রার্থী ঘোষণা হতেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ব্লকে শুরু হয়ে গিয়েছে অধিকার যাত্রা। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। এরই মধ্যে একাধিক জেলা সফর সেরে ফেলেছেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ময়দানে নেমে পড়েছেন। বুধবারই জলপাইগুড়িতে ছিল তাঁর জনগর্জন সভা। শনিবার ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে সভা করবেন অভিষেক। এরপর ১৮ মার্চ সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আরও একটি বড় সভা রয়েছে তৃণমূলের। দলের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও আসরে নেমে পড়েছেন কলকাতা ও জেলার নেতা-কর্মীরা। কোথাও প্রার্থীদের নিয়ে, কোথাও প্রার্থীদের (TMC candidate ) ছাড়াই প্রচারে ব্যস্ত কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বিজেপির বিপদ সম্পর্কে বোঝানো হচ্ছে মানুষকে। ভোটের মুখে মানুষকে ভুল বোঝাতে সিএএ-কে ফের সামনে এনেছে বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি যতক্ষণ আছেন কারও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এ-রাজ্যে সিএএ প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। সিএএ-র বিপদ সম্পর্কেও মানুষকে সজাগ করছেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারকে লোকসভা ভোটে ‘সাজা’ দেওয়ার ডাক কৃষক নেতাদের