প্রতিবেদন : সদ্য শেষ হয়েছে আলোর উৎসব। সেই উৎসবের আমেজ এখনও রয়ে গিয়েছে আকাশে বাতাসে। এরই মধ্যে সোমবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতা ও পাশ্বর্বতী এলাকার বিশ্ববাংলা সেরার সেরা পুজোর স্বীকৃতি পুরস্কার দেওয়া হল। সেরা পুজো কমিটিগুলিকে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং দেবাশিস সেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার মঞ্চে একেকটি সম্মান প্রাপক ক্লাবের দুই বা তিনজন করে প্রতিনিধিকে ডাকা হয়। ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিনই বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। এবার মোট ১০৩টি পুজো কমিটি বিভিন্ন বিভাগে বিশেষ সম্মান পেয়েছে। কলকাতা, বরানগর পুরসভা, দক্ষিণ দমদম পুরসভা, বিধাননগর পুরসভা এবং হাওড়া পুরসভা এলাকার পুজোগুলি থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেরার সেরা পুজো কমিটিগুলিকে।
আরও পড়ুন : গুলিতে হত বাঙালি জওয়ান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এই বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই কনভেনশন সেন্টার বাংলার গর্ব, তৃণমূল সরকার এটি তৈরি করেছে। গোটা বিশ্বের কাছেই এটি অপার বিস্ময় হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বললেন, আগামী বছর নতুন করে গড়ে ওঠা মিলনমেলা প্রাঙ্গণে হবে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান। সেটাও দারুণ করে তৈরি হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হবে। আমাদের কাছে যা আছে সেটা কাজে লাগাতে হবে। ভিক্ষে করে বাঁচা নয়, বুদ্ধি করে আমাদের সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। সেগুলি কাজে লাগান, সবকিছু পেয়ে যাবেন। বাংলার দুর্গাপুজো হল বাঙালির ঐতিহ্য। আজ সুব্রতদার কথা মনে পড়ছে। উনি বেঁচে থাকলে এখানে উপস্থিত থাকতেন। আচমকা চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। কনভেনশন সেন্টারে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরে মুখ্যমন্ত্রী যান ইকো পার্কে। সেখানে ছিল রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী, বিধায়ক, শিল্পপতি-সহ টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা।