প্রতিবছর দুর্গাপুজো বা কালিপুজের সময় লেজার রশ্মির (Laser Ray) ব্যবহার হয় কলকাতার বেশ কিছু বড় মণ্ডপে। আকর্ষণ বাড়াতে অনেক মেলা, অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়িতেও আজকাল লেজার রশ্মির ব্যবহার করা হচ্ছে। দমদমে বিমানবন্দর (Dumdum airport) সংলগ্ন এলাকাতে এই লেজার রশ্মির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিমান চালকদের। হিসেবে বলছে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ কয়েকটি বিমান কলকাতায় অবতরণের সময় অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সমস্যা হল এলাকায় যেকোন অনুষ্ঠানে লেজার রশ্মির ব্যবহার। বিয়ের মরশুমে দমদম এলাকার অনেক বিয়ে বাড়িতে লেজার লাইট ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নবান্নতে (Nabanna) চিঠি দিল।
আরও পড়ুন-ঘুষকাণ্ডে গৌতম আদানি ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে মার্কিন প্রশাসন
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ লেজার লাইট সমস্যা নিয়ে রাজ্যের পুর দফতরকে চিঠি দিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই মর্মে আবেদন জানান, বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় লেজার রশ্মির ব্যবহার যেন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়। শুধু তাই নয়, পুলিশ, এবং বিমানবন্দর এলাকার পুরসভাগুলির সহযোগিতা কাম্য সেই কথাও বলা হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় আসা বিমান লেজার রশ্মির ফলে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারির রাতে অল্পের জন্য বেঁচেছিল একটি বিমান। ২৮ ফেব্রুয়ারি আগরতলা থেকে কলকাতায় আসা একটি বিমান লেজার রশ্মির ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছিল।
আরও পড়ুন-পদত্যাগ করলেন ইন্দ্রনীল সেন
প্রসঙ্গত, অন্ধকারে বিমান অবতরণ করার সময় বিমানবন্দরের রানওয়েতে থাকা আলো অনুসরণ করা হয়। এই অবস্থায় অবতরণের আগে যদি আশেপাশের এলাকা থেকে লেজার লাইট আকাশ আলোকিত করে রাখে, তখন বিমানচালকদের দিকনির্ণয়ে সমস্যা হয়। ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর সময় লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের মণ্ডপে লেজার আলোর ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই লেজার আলোর ফলে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণে সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা বুঝতে পেরে অবশেষে সেই মণ্ডপের লেজার লাইট শো বন্ধ করা হয়েছিল।