প্রতিবেদন : শনিবারই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। তারপরই রবিবার। আর প্রথম রবিবারই প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল। আগেই রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা এখনও প্রার্থী খুঁজতে জেরবার। অধিকাংশ আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি তাঁরা। ফলে পয়লা রাউন্ডেই অনেকটা এগিয়ে তৃণমূল শিবির। প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত চলছে অধিকার যাত্রা। দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম। একাধিক জেলা সফর সেরে ফেলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ময়দানে নেমে পড়েছেন। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় ছিল তাঁর জনগর্জন সভা। সোমবার ফের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে রয়েছে তাঁর বিরাট জনসভা। কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীদের নিয়ে ময়দানে নেমেছেন শীর্ষ নেতারাও।
কলকাতা থেকে জেলা, একেবারে তুঙ্গে প্রচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বিজেপির বিপদ সম্পর্কে বোঝানো হচ্ছে মানুষকে। এদিন রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়। পাণ্ডুয়ার শিমলাগড় কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা। এরপর শিমলাগড়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সারলেন জনসংযোগ। তাঁকে দেখতে, তাঁর কথা শুনতে মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। এদিন সকাল থেকেই প্রচারে নামেন যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সকালে আজাদগড় থেকে শুরু হয় তাঁর জনসংযোগ। তারপর সোনারপুর, ভাঙড়েও যান তিনি। মিছিল ও জনসভার পাশাপাশি জনসংযোগও করেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। এদিন মালদহ থেকে প্রচার শুরু করেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এদিন মালদহ কলেজে কর্মিসভাও করেন। আরও একটি সভা করেন ফিরহাদ।
উৎসবের মেজাজে ঢাক, ঢোল ও প্রচুর সমর্থক সঙ্গে নিয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার সারলেন জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। রবিবার সকালে নিগমনগরের নিগমানন্দ সারস্বত আশ্রমে পুজো দিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল প্রার্থী। গেলেন স্থানীয় বাজারেও। এরপর দিনহাটার বুড়ির হাট, বাসন্তীর হাট-সহ ভেটাগুড়িতে সভা করেন তিনি। পলাশি, মাঝিপাড়া, নাগদহ অঞ্চলে হরিনাম সংকীর্তন উৎসবে উপস্থিত হন বারাকপুরের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। এদিন প্রচারে নেমে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ সারেন পার্থ ভৌমিক। তমলুকে রবিবাসরীয় প্রচার ছিল জমজমাট। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারলেন তমলুকের প্রার্থী যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ছিল একাধিক জনসভা। সভায় অন্যতম বক্তা ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চণ্ডীপুরে কাঁথির প্রার্থী উত্তম বারিক বাড়ি এবং বাজার এলাকায় জনসংযোগ সারেন। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের প্রচারে এবং দেওয়াল লিখনে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের প্রাক্তন পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র-সহ অন্যরা। এ-ছাড়া কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস ও বারাসত ব্লক ২ তৃণমূলের উদ্যোগে কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মোনোয়ারা বিবিরা। হুগলি জেলার পুরশুড়া এলাকায় দলীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার সারলেন আরামবাগে প্রার্থী মিতালী বাগ। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়, বিধায়ক করবী মান্না-সহ দলীয় নেতৃত্ব। রবিবার সকালে বেলেঘাটায় জনসংযোগ সারলেন কলকাতা উত্তরের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুভাষ সরোবরে গিয়ে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে হাঁটার পাশাপাশি প্রচারও করেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায়ও এদিন সকাল থেকে নেমে পড়েন প্রচার। রাতেও একাধিক এলাকায় জনসংযোগ করেন তিনি। বাঁকুড়া শহরের ভৈরবস্থান মন্দিরে পুজো সেরে প্রচারে নামলেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। এদিন চায়ের আসরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন অরূপ চক্রবর্তী।
প্রচারে ঝড় তুলে দিল তৃণমূল
সোমবার ফের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে রয়েছে তাঁর বিরাট জনসভা। কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীদের নিয়ে ময়দানে নেমেছেন শীর্ষ নেতারাও।