দিল্লিকে উড়িয়ে ট্রফি আরসিবির

১৪ রানে ২ উইকেট দখল করেন আরেক স্পিনার আশা শোভনা। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি।

Must read

নয়াদিল্লি, ১৭ মার্চ : দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে মেয়েদের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১১৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দিল্লি। আরসিবির দুই স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও সোফি মলিনিউক্সের ঘূর্ণিতেই শেষ দিল্লির ব্যাটাররা। শ্রেয়াঙ্কা ১২ রানে ৪ উইকেট নেন। ১৫ রানে ৩ উইকেট সোফির। ১৪ রানে ২ উইকেট দখল করেন আরেক স্পিনার আশা শোভনা। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি।

আরও পড়ুন-আজ অভিষেকের সভা গঙ্গারামপুরে

গত ১৬ বছরে একবারও আইপিএল জিততে পারেননি বিরাট কোহলিরা। মেয়েদের আইপিএল চালু হওয়ার দ্বিতীয় বছরেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছেলেদের টেক্কা দিলেন স্মৃতি মান্ধানারা। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দিল্লিকে।
এদিন ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিলেন মেগ ল্যানিং ও শেফালি ভার্মা। ঝড়ের গতিতে প্রথম উইকেটে ৬৪ রান যোগও করে ফেলেছিলেন দু’জনে। বিশেষ করে, মাত্র ২৭ বলে ৪৪ রান করে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন শেফালি। কিন্তু আরসিবির বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক ওভারে তিন উইকেট দখল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। সোফির প্রথম বলে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শেফালি। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন যথাক্রমে জেমাইমা রডরিগেজ (০) এবং অ্যালিস কেপসি (০)। দু’ওভার পর ল্যানিংও ২৩ বলে ২৩ রান করে শ্রেয়াঙ্কার শিকার হলে ৭৪ রানেই ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এরপর আর খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি দিল্লি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। শেফালি ও ল্যানিং ছাড়া দু’অঙ্কের রান করেছেন শুধু রাধা যাদব (১২) ও অরুন্ধতী রেড্ডি (১০)।

আরও পড়ুন-প্রচারে ঝড় তুলে দিল তৃণমূল

তবে কম রানের পুঁজি হাতে নিয়েও ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল দিল্লি। জেতার জন্য ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা সতর্কতার সঙ্গে করেছিলেন আরসিবির দুই ওপেনার স্মৃতি ও সোফি ডিভাইন। ২৭ বলে ৩২ করে আউট হন ডিভাইন। এরপর দিল্লির আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। স্মৃতি ৩৯ বলে ৩১ করে আউট হলে চাপও কিছুটা বেড়ে যায়। তবে এলিস পেরি ও রিচা ঘোষ মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জয় এনে দেন। পেরি ৩৭ বলে ৩৫ করে নট আউট থাকেন। চার মেরে দলকে জয় উপহার দেওয়া রিচার অবদান ১৪ বলে অপরাজিত ১৭। এদিকে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য স্মৃতিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরাট। ফাইনাল শেষ হওয়ার পর ভিডিও কলে স্মৃতির সঙ্গে কথা বলেন কিং কোহলি।

Latest article