প্রতিবেদন : পোষ্যপ্রেমীদের জন্য নতুন নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। বাড়িতে যারা বিদেশি কুকুর রাখতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য আগাম সতর্কতা। ইচ্ছে হলেও এবার ভারতের কোনও রাজ্যে পোষা যাবে না কয়েকটি বিদেশি প্রজাতির কুকুর। যারা ইতিমধ্যেই এধরনের কুকুর পুষছেন তাঁদের সেই তথ্য সরকারি স্তরে নথিভুক্ত করতে হবে। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া পোষ্য প্রজাতিগুলির প্রজনন বা ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিক্রি বন্ধ করতে হবে। বিশেষ কিছু প্রজাতির কুকুরের পালন, প্রজনন এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকেও এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-বড়াইচণ্ডী মন্দিরে পুজো, মোল্লাজি বাগানের মসজিদে প্রার্থনা, প্রচারে ঝড় তুললেন দিদি নম্বর ওয়ান
কোন কোন বিদেশি কুকুর আর পোষ্য হিসাবে রাখতে পারবেন না ভারতীয়রা? কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক ২৩টি প্রজাতিকে চিহ্নিত করে বলেছে, প্রকৃতিগতভাবে হিংস্র হওয়ায় এ-ধরনের কুকুরের আক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটার সম্ভাবনা। ইতিপূর্বে এই ধরনের কুকুরের আক্রমণে জখম হওয়ার একাধিক নজির রয়েছে। ইতিমধ্যেই যারা এইসব কুকুর পুষছেন তারা জনবহুল জায়গায় এসব পোষ্য নিয়ে বেরোতে পারবেন না। কারণ তাহলে সহনাগরিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এইসব ভয়ঙ্কর প্রজাতির কুকুরের বংশবৃদ্ধি আটকাতে সব রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়ে এই প্রজাতির কুকুরগুলির নির্বীজকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। নিষিদ্ধ প্রজাতির পোষ্যের তালিকায় রয়েছে পিটবুল টেরিয়ার, আমেরিকান বুলডগ, রটওয়েলার, তোসা ইনু, আমেরিকান স্ট্র্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার, ফিলা ব্রাসিলেইরো, ডোগো আর্জেন্টিনো, বোয়ারবোয়েল কাঙ্গাল, সেন্ট্রাল এশিয়ান শেপার্ড, ককেশিয়ান শেপার্ড। এ ছাড়াও রয়েছে সাউথ রাশিয়ান শেপার্ড, টর্নিয়াক, সারপ্ল্যানিনাচ, জাপানিজ় তোসা, আকিতা, ম্যাসটিফস, রোজেশিয়ান রিজব্যাক, উল্ফ ডগ, ক্যানারিয়ো, আকব্যাশ ডগ, মস্কো গার্ড ডগ, কেন করসো এবং ব্যানডগ। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, হিংস্রতা ইত্যাদির ওপর মূল্যায়ন করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ
কুকুর মানুষের প্রিয় পোষ্য। প্রভুভক্ত এই প্রাণী যে কখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে সেই সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা থাকে না। সেক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন নাগরিক মঞ্চ, পশুকল্যাণ সংস্থাগুলি থেকে কেন্দ্রের কাছে বেশ কিছু প্রজাতির পোষ্য কুকুরের প্রজনন এবং বিক্রি বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়। দিল্লি হাইকোর্টে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে একটি প্যানেল গঠন করা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।