প্রতিবেদন : ১২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। বিজেপি চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কেউ এগিয়ে আসার সাহসই দেখাতে পারল না বিজেপির! শুধু শূন্য কলসির মতো মোদি গ্যারান্টির বুলি আউড়ে যাচ্ছে ওরা। বুধবার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মোদির জিরো গ্যারান্টির পাঁচটি ছবি তুলে ধরল তৃণমূল (TMC)।
মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে মোদির জিরো গ্যারান্টির পাঁচটি বিষয় তুলে বলেন, মোদি সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ। এখনও শুধু ভাঁওতা দিয়ে মোদি গ্যারান্টির বুলি আওড়া যাচ্ছে। তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল (TMC) জানায়, কর্মসংস্থানে বড় শূন্য পেয়েছেন মোদিজি। গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান বলছে, ২০-২৪ বছর বয়সিদের ৪৫ শতাংশ বেকার। তার মধ্যে ২৫ বছর কম বয়সি গ্র্যাজুয়েট বেকারের হার ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন-স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট, ভোটের আগে ইডি ডাকতে পারবে না অভিষেককে
ঘটা করে স্মার্ট সিটি ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু সেই স্মার্ট সিটির উন্নয়ন এখন স্তব্ধ। ২০১৫ সালে থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে ২টি স্মার্ট সিটিতে ৪ বছরের জন্য, ১৩টিতে ৩ বছরের জন্য, ১২টিতে ২ বছরের জন্য এবং ৫টি শহরে ১ বছরের জন্য কোনও বরাদ্দ হয়নি। স্মার্ট সিটি মিশনের আর একটি ফ্লপ গ্যারান্টি। নমামি গঙ্গে প্রকল্পে দূষণ কমা তো দূরের কথা, তা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী এলাকা বারাণসী কেন্দ্রেই গঙ্গায় দূষণ সবথেকে বেশি। তার প্রধান কারণ মাইক্রো প্লাস্টিক। কোভিডে মৃতদেহ এই গঙ্গা দিয়েই বয়ে গিয়েছে। ফলে সম্পূর্ণ ফেল মোদিজি।
সাগরমেলা প্রকল্পে ৪৪টির মধ্যে ৩১টিতেই কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। মাত্র ৯টি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে। সবথেকে বড় ডিজাস্টার হল নোটবন্দি। অর্থনৈতিক সন্ত্রাস। উদ্ধার হয়নি কালোটাকা, থামেনি জঙ্গি কার্যকলাপ। আরবিআই বলছে, ২০১৬ সালে বাজারে ছিল ১৬.৬ কোটি। ২০২৩-এ বাজারে রয়েছে ৩৩.৪ কোটি। প্রতি ক্ষেত্রেই ডাহা ফেল মোদির জিরো গ্যারান্টি।