প্রতিবেদন : নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া চারটি বিলের অনুমোদন আটকে রেখেছিলেন কেরলের রাজ্যপাল। পরে আদালতের চাপে তিনি সেই বিল রাষ্ট্রপতিকে পাঠিয়ে দেন অনুমোদনের জন্য। কিন্তু তারপর রাষ্ট্রপতি নভেম্বর থেকে চার বিলে অনুমোদন দেননি। এই অচলাবস্থার প্রতিকারে এবার রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার।
আরও পড়ুন-চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডিং পয়েন্টের নাম ‘শিবশক্তি’ মান্যতা পেল আন্তর্জাতিক মঞ্চে
২০২১ সালে কেরল মন্ত্রিসভায় পাশ হয় শিক্ষা সংক্রান্ত একটি বিল। এরপর ২০২২ সালে পাশ হওয়া দুটি শিক্ষা সংক্রান্ত বিল ও একটি সমবায় সমিতি বিল আজও বিল আকারেই রয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল কেরল মন্ত্রিসভার পাশ করা মোট ৭টি বিলে অনুমোদন দেননি। এর বিরুদ্ধে কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সেই চাপে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান। নভেম্বরে সেই বিলের তিনটিতে অনুমোদন দিলেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দফতর থেকে ৪টি বিলের অনুমোদন আসেনি। ফলে কেরলে শিক্ষা সংক্রান্ত সংস্কার আইন পাশ আটকে রয়েছে সাংবিধানিক পদ্ধতিগত জটে। সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল সংরক্ষিত বিল সাতটির মধ্যে চারটির জন্য সম্মতি স্থগিত রাখার জন্য কোনও কারণ দেখাননি। এটি একটি অত্যন্ত স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ, যা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা, সেই সঙ্গে ২০০ ও ২০১ ধারা লঙ্ঘন করে।
আরও পড়ুন-‘লিঙ্গসাম্য সংবিধান স্বীকৃত’ হাইকোর্টের নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ
পাশাপাশি বিজয়ন সরকারের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির কাছে বিলগুলি অনুমোদনের জন্য পাঠানোর সময় কোনও জায়গায় রাজ্যপাল এই সত্যটিও উল্লেখ করেন না যে তিনি ১১ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত বিলগুলি তার কাছে রেখে দিয়েছিলেন। মামলার পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, বিলগুলিকে দুই বছরের মতো মুলতুবি রাখার ক্ষেত্রে রাজ্যপালের পদক্ষেপ রাজ্যের আইনসভার কার্যকারিতাকে বিঘ্নিত করেছে এবং এর অস্তিত্ব অকার্যকর এবং অচল করে দিয়েছে। বিলগুলির মধ্যে জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিলগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এমনকী ২০০ ধারার শর্ত অনুসারে রাজ্যপাল প্রতিটি বিল ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অকার্যকর করে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির বিল আটকে রাখা ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হোক।