‘লিঙ্গসাম্য সংবিধান স্বীকৃত’ হাইকোর্টের নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ

যদিও এই মামলায় স্ত্রী দাম্পত্য পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায়। সেই আবেদন গ্রহণ করে স্বামীর আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

Must read

সংসারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই আসন সমান। কেউই উচ্চ আসনে বসার অধিকারী নয়। দাম্পত্য কলহ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt)। একটি মামলার ফলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট এই মর্মে স্বামীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেন না ও মানসিক নির্যাতন করা হয় এমন এক অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থা ও নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। আদালতে সেই ব্যক্তি জানান তাঁর মাকেও শারীরিক নির্যাতন করত স্ত্রী। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

আরও পড়ুন-‘এবার ৩০-৩৫টি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস’ হিসেবে দেখালেন কুণাল ঘোষ

সব শোনার পরেই বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করেই বলেন, ‘সংসারে স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর উচ্চাসন প্রাপ্য নয়। সবাই সমান। সুখী দাম্পত্য গঠনের অনুকুল পরিবেশ গঠনে উভয়ের ভূমিকা সমান। স্ত্রী সংসার ধরে রাখেন, স্বামী সেই অনুযায়ী একের পর এর দৃশ্য তৈরি করে সংসার চালান। এঁদের কেউ অবহেলার পাত্র নন। সমাজের রীতি ছিল স্বামীকে স্ত্রীর চেয়ে উচ্চ আসনে বসিয়ে রাখা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বিলোপ হয়ে গিয়েছে। ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষের সমান দায়িত্ব দাম্পত্য সুখ বজায় রাখা। এটি কখনও এক মুখী হতে পারে না। লিঙ্গসাম্য সংবিধান স্বীকৃত। তাই স্বামীকে উচ্চ আসনে বসিয়ে রাখা যাবে না।’

আরও পড়ুন-চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডিং পয়েন্টের নাম ‘শিবশক্তি’ মান্যতা পেল আন্তর্জাতিক মঞ্চে

যদিও এই মামলায় স্ত্রী দাম্পত্য পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায়। সেই আবেদন গ্রহণ করে স্বামীর আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

Latest article