প্রতিবেদন : বায়োমেট্রিক (Biometrics) ছাড়া আর জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। রাজ্যে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একটি স্পেশ্যাল প্রভিশন বা বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ১৯০৮ সালের নির্ধারিত আইনের ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে আনার সুবিধা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এই নিয়মকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। জমির আসল মালিকের অজান্তেই জমি অন্যের নামে করিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে জাল দলিল তৈরির প্রবণতাও। এ-ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প ডিউটি অধিকরণ এক নির্দেশিকা জারি করেছে।
নয়া নির্দেশিকায় বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রি করানোর ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে সাফ বলা হয়েছে, বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রির আবেদন যাচাই করে যদি দেখা যায় যে সত্যিই আবেদনকারী কোনওভাবেই অফিসে আসতে পারবেন না, তবেই তা মঞ্জুর হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে যদি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বিভাগীয় অধিকর্তার কাছে আগের মাসের রিপোর্ট পাঠাতে হবে। কলকাতা জেলায় রেজিস্ট্রি বিভাগকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-শাহকে চ্যালেঞ্জ বাবুলের, প্রার্থী হন আসানসোলে
প্রশাসনিক মহলের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বায়োমেট্রিক (Biometrics) ছাড়া রেজিস্ট্রির সংখ্যা অনেকটাই কমবে। অসুস্থতার কারণে যাঁদের সত্যিই রেজিস্ট্রি অফিসে আসার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা আরও কার্যকর করার ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ ভীষণ কাজে দেবে। বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য ৪০০ টাকা সরকারি ফি দিতে হয়। এক্ষেত্রে যাতে কোনও অনৈতিক লেনদেন না হয়, সে-বিষয়েও মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের।