সংবাদদাতা, হাওড়া : অগণিত ভক্তের চোখের জলে রামকৃষ্ণলোকে যাত্রা করলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ (Swami Smaranananda)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে অধ্যক্ষ মহারাজের মরদেহ বেলুড় মঠে নিয়ে আসা হয়। সাংস্কৃতিক ভবনে মহারাজের দেহ শায়িত রাখা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অগণিত ভক্ত ফুল ও মালা দিয়ে মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। রাতেই অধ্যক্ষ মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকালে বেলুড় মঠে এসে মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী অরূপ রায়।
সাংস্কৃতিক ভবনে ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, বিবেকানন্দ ও শ্রী সারদা মায়ের পায়ের কাছে রাত ৮টা পর্যন্ত অধ্যক্ষ মহারাজের দেহ শায়িত থাকে এরপর মায়ের সামনে তাঁকে গঙ্গাস্নান করিয়ে নববস্ত্র পরানো হয়। সেখানে সন্ন্যাসীরা সমস্ত উপাচার পালন করেন। মঠ চত্বরে মহারাজের দেহ ঘোরানো হয়। রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, ব্রহ্মানন্দের মন্দির, স্বামীজির মন্দির হয়ে বেলুড় মঠে গঙ্গার তীরে মহারাজদের জন্য নির্দিষ্ট অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া স্থলে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সম্পূর্ণ চন্দন কাঠে অধ্যক্ষ মহারাজের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী ও মহারাজররা সমবেত রামকৃষ্ণশ্লোক-গান ও মন্ত্রোচ্চারণ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যের স্কুলে যৌননিগ্রহ
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগভোগের পর মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৪ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রয়াত হন স্মামী স্মরণানন্দ মহারাজ (Swami Smaranananda)। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ জানান, আগামী ৭ এপ্রিল বেলুড় মঠে অধ্যক্ষ মহারাজের ভাণ্ডারা হবে। ওইদিন লক্ষাধিক ভক্ত ভান্ডারায় অংশ নেবেন। আমাদের সংঘের নিয়ম মেনে নতুন অধ্যক্ষ স্থলাভিষিক্ত হবেন। এর জন্য প্রায় ১ মাস সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষের পদ খালি থাকবে না। আমাদের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রবীণতম মহারাজকে অস্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়। তাঁর অধীনেই সমস্ত আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। এই ব্যাপারে শীঘ্রই সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।