প্রতিবেদন : ইডির হাতে গ্রেফতার হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে কোনও আইনগত বাধা নেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। খারিজ করে দিল এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বিচার বিভাগের। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লি হাইকোর্টের এই রায় ভোটের মুখে বিজেপির কাছে একটা মোক্ষম ধাক্কা। কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে এদিন উঠেছিল এই মামলা। মামলাকারীর আবেদন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে হবে কেজরিওয়ালকে। কিন্তু আদালত সরাসরি জানিয়ে দিল, এমন কোনও
আইন নেই যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। অর্থাৎ, ইডি হেফাজতে বসে দুদিনে কেজরিওয়াল যে দুটি সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আর কোনও বিতর্কের অবকাশ রইল না। এদিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এদিন কেজরিকে হাজির করে ইডি। ৭ দিন হেফাজত শেষে ইডি আরও ৭ দিনের হেফাজতের আর্জি জানালেও আদালত কেজরিওয়ালকে ৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে যাওয়ার পথে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই গ্রেফতারি আসলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। মানুষ ঠিক এর জবাব দেবে। ওরা যতদিন চায় আমাকে হেফাজতে রাখতে পারে। আদালতে কেজরির সওয়াল, ইডির আসলে দুটি উদ্দেশ্য। প্রথমত, আপকে ভেঙে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, আড়ালে তোলাবাজির চক্র চালানো।
আরও পড়ুন- এবার মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা, আর কত নিচে নামবে বিজেপি, অভিজিতের অসভ্যতা