প্রতিবেদন : বাংলাকে বঞ্চনা নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই বঞ্চনাকে শিক্ষাক্ষেত্রেও নামিয়ে আনল। এবার নতুন চিত্রনাট্য। আটকে দেওয়া হল শিক্ষা মিশনের বরাদ্দ করা অর্থ। এবং এই নতুন চিত্রনাট্যে একটি প্রকল্পের সঙ্গে আর একটি প্রকল্পকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই টাকা না ছাড়ার নির্দেশ। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, কাজটি সম্পূর্ণ অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, বেআইনি এবং কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কাছ থেকে শিক্ষা মিশন খাতে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে পাওনা ছিল ১,৫০০-১,৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুটি ভাগে ৩১১ কোটি টাকা দিয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দেওয়ার কথা ছিল ৪৮৫ কোটি টাকা। এব্যাপারে অনুমোদনও দিয়েছিল কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ অর্থ বিভাগ। তা সত্ত্বেও টাকা ছাড়েনি। শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। শিক্ষা দফতরের সচিবও কেন্দ্রের শিক্ষাসচিবকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করে টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা ছাড়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো শুরু করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- আজ ঢোলায় অভিষেকের কর্মিসভা, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন নেতৃত্ব
ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে এবং শিক্ষামন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ অর্থবিভাগ এই বরাদ্দ অর্থ ছেড়েও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সর্বশিক্ষা মিশনের খাতে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। কেন? ব্রাত্যর অভিযোগ, শোনা যাচ্ছে পিএমশ্রী প্রকল্পের মউ রাজ্য সই করেনি বলেই এই ‘শাস্তি’।
সম্পূর্ণ অন্য একটি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে না চাওয়ার সঙ্গে অপর একটি প্রকল্পের টাকা না ছাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বেআইনি কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে রাজ্য টাকা পাওয়ার পর তার একটা নির্দিষ্ট অংশ ব্যবহারের প্রমাণ দেখালে পরবর্তী ভাগের বরাদ্দের জন্য আবেদন করা যায়। এই কারণে তৃতীয় ভাগের অর্থ আসেনি। ফলে পরবর্তী ভাগের জন্য দাবি জানাতে পারেনি রাজ্য। সব মিলিয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা বাংলার বিরুদ্ধে বরাদ্দ বঞ্চনা।