প্রতিবেদন : ২০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অপারেশন। শেষপর্যন্ত ১৬ ফুট গভীর কুয়ো থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হল দু’বছরের শিশুকে। কর্নাটকের বিজয়পুরা লাচায়ন গ্রামের ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বাড়ির বাইরে খেলতে বেরিয়েছিল সাত্ত্বিক মুজাগুন্ডা নামে দু’বছরের ছেলেটি। পাড়ার এক বাসিন্দা হঠাৎ শুনতে পান কুয়োর ভেতর থেকে ভেসে আসছে এক শিশুর কান্না। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন এলাকারই এক শিশু পড়ে গিয়েছে কুয়োয়। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে জানানো হয় বিষয়টা।
আরও পড়ুন-রহস্য! জলের ট্যাঙ্কে ৩০ বাঁদরের দেহ
ছুটে আসে পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ শুরু হয় উদ্ধার অপারেশন। এক্সক্যাভেটারের সাহায্যে পাশেই ২১ ফুট গভীর গর্ত করা হয় দ্রুত। প্রস্তুত রাখা হয় মেডিক্যাল টিম, জরুরিভিত্তিক ওষুধপত্র, অ্যাম্বুল্যান্স এবং অবশ্যই অক্সিজেন সিলিন্ডার। সমান্তরাল গর্তের মাধ্যমেই শিশুটির কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করেন স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং হায়দরাবাদ থেকে আসা এনডিআরএফ-এর বিশেষ প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীরা। শেষপর্যন্ত ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। তবে শিশুটি কেমন আছে, জানা যায়নি তা।