ভূপতিনগরে এনআইএ (NIA) মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এবং স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ। এনআইএ’র কর্মকাণ্ডে আগেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কুণাল ঘোষ এনআইএ–বিজেপির গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে আনলেন। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, বিজেপির কথায় কাজ করছে এনআইএ। টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম দিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার করছে এনআইএ। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল এনআইএ। আর তাতে মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার এই দাবি তুলে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-ক্লেটনদের সামনে আজ সুনীল-কাঁটা
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘২৬ মার্চ ২০২৪ এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের কলকাতার বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা লিস্ট দিয়ে কোন কোন এলাকায় কাদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দেন। সেই তালিকা অনুযায়ী এনআইএ ঠিক করে যে তল্লাশি করে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মীদের তুলে আনবে। ২৬ মার্চ ধনরাম সিংয়ের নিউটাউনের বাড়িতে পৌঁছন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।’ এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়ির ভিজিটার বুকের কপি তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। যেখানে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইএ এসপির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে যে ঠিকানা লেখা হয়, সেটা কলকাতায় তাঁর মেয়ের বাড়ির ঠিকানা। কুণাল ঘোষ জানান লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়েছে। এরপরেও বিজেপির সঙ্গে এনআইএ’র অর্থের লেনদেন হয়েছে। এর ফলে শনিবার ভোররাতে ভূপতিনগরে যায় এনআইএ। তাই ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি তুলেছে তৃণমূল। ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ– বিজেপি যোগসাজশের সত্যতা নিয়ে কারও সংশয় থাকলে ভিডিয়ো রিলিজের কথাও বলেন এদিন কুণাল ঘোষ।