দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (Election commission) সামনে তৃণমূল সাংসদদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আপত্তি দেখিয়ে নির্লজ্জ আক্রমণ করল অমিত শাহের পুলিশ। এই বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময়ও চেয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন-কাঁথির ৩০ তৃণমূল নেতাকে এবার তলব করল সিবিআই
রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার নির্বাচন সদনে যান তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমান মাঠে খেলার সুযোগের দাবি জানানো হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এরপর নির্বাচন কমিশনের ভবনের বাইরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেন তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ-সহ প্রতিনিধিরা। আচমকাই সেখানে দিল্লি পুলিশ এসে তৃণমূলের প্রতিবাদের পথ বন্ধ করার চেষ্টা করে। জোর করে সাংসদ ও তৃণমল নেতৃত্বদের পাঁজাকোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পায়ে আঘাত লাগা সাংসদ দোলা সেনকেও রেয়াত করেনি অমিত শাহের পুলিশ। এর আগেও কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখন দিল্লিতে রাজ্যের দাবি পেশ করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, তখনও একই ভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছিল। সোমবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে গর্জে ওঠেন অভিষেক। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “২০২৩ সালের অক্টোবরে, কৃষি ভবনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আজ প্রকাশ্য দিবালোকে বাইরে হামলা হল! যত দিন যাচ্ছে, বাংলা বিরোধী জমিদাররা তাদের ক্ষমতার জন্য হিংস্র ও মরিয়া হয়ে উঠছে। উপযুক্ত জবাব দেবে বাংলা! বিজেপি তোমার কোমর বেঁধে নাও!”
আরও পড়ুন-নিজের ঘরেই ঢুকতে পারছেন না মমতাবালা, অশান্ত ঠাকুরবাড়ি
এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইতে ১১ জন প্রতিনিধির নিয়ে দেখা করতে চেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল সোমবার পিংলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরলেই বিষয়টি তাঁকে জানানো হবে।