প্রতিবেদন : এজেন্সি-বিজেপি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দিল্লি থেকে কলকাতা প্রতিবাদের ঝড় তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে কমিশনে অভিযোগ। প্রতিবাদ-ধরনা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের উপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলা দেখেছে গোটা দেশ। একইসঙ্গে সোমবার কলকাতায় রাজ্যপাল বোসের (TMC- Bose) কাছে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১১ জনের তৃণমূল প্রতিনিধি দল। এখানেই ক্ষান্ত না হয়ে মঙ্গলবার ফের রাজ্যপালকে কড়া চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে রাজ্যপাল বোসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁর ফেসবুকে রাজভবনের বৈঠকের ছবি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতি পদে? সোমবার রাজধানীর বুকে যা ঘটেছে তাকে গণতন্ত্রের মৃত্যু ছাড়া আর কীই-বা বলা যায়! একইসঙ্গে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের বিজেপির দলদাসের মতো আচরণের তীব্র নিন্দা করে অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের সৈনিকদের কোনও জমিদারের লেঠেল বাহিনী দিয়ে আটকানো যাবে না। রাজ্যপালকে (TMC- Bose) আমরা সবটা জানিয়ে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন- কমিশন পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে
মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিয়ে লিখেছেন, এনআইএ-বিজেপি ষড়যন্ত্র বৈঠকের অকাট্য তথ্য-প্রমাণ প্রবলভাবে সামনে এনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন, তার ফলে এনআইএ-র তরফে এসপি ধনরাম সিংকে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে তাঁর জায়গায় পাটনা থেকে রাকেশ রোশনকে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে ওই পদে। কুণাল লিখেছেন, কিন্তু এসবে আমরা ভুলছি না। ষড়যন্ত্র বৈঠকের প্রকৃত তদন্ত করতে হবে। এনআইএ-কে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাতে হবে তারা ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং সব থেকে বড় কথা, আমরা এনআইএ-র ডিজির অপসারণও দাবি করছি। কারণ এই গোটা বিষয়টির জন্য তিনিও দায়ী।
এদিকে ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এনআইএ। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, এনআইএ আদালতে গিয়েছে তার কারণ, ধনরাম সিং ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির ষড়যন্ত্র বৈঠক যাতে ফাঁস না হয়। এই ঘটনা যাতে তদন্তের আওতায় না আসে। সব মিলিয়ে কার্যত লেজে-গোবরে অবস্থা এনআইএ ও বিজেপির।