প্রতিবেদন : প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার জন্য পাঞ্জাব এফসিকে হারাতেই হত। কিন্তু জেতা তো দূরের কথা উল্টে ১-৪ গোলে হেরে এবারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ ইস্টবেঙ্গলের! ক্লেটন সিলভাদের হারে চেন্নাইয়িন এফসি প্লে-অফে উঠে গেল। ৮৩ মিনিটে খাবরা গোললাইন সেভ না করলে, পাঁচ গোল হজমের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হত লাল-হলুদকে।
আরও পড়ুন-চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মীমাংসা হল না কোনও ম্যাচের
গোটা ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। কার্ড সমস্যায় সৌভিক চক্রবর্তী ও প্রভসিমরন গিলের না থাকাটা বারবার ধরা পড়ল। সৌভিক না থাকায় মাঝমাঠে কোনও ব্লক হচ্ছিল না। অন্যদিকে, প্রভসিমরনের বদলি হিসাবে মাঠে নামা কমলজিৎ সিংকে সারাক্ষণই নড়বড়ে দেখিয়েছে তিন কাঠির নিচে। দ্বিতীয় গোলটি তাঁর দোষেই হজম করে ইস্টবেঙ্গল। গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো লাল-হলুদ মাঝমাঠের স্তম্ভ সাউল ক্রেসপো এদিন নিজের সেরা ফর্মের ধারেকাছেও ছিলেন না।
আরও পড়ুন-আদৌ কি কমিশনের অনুমতি নিয়েছে? জবাব চাইল তৃণমূল
অন্যদিকে, দুর্দান্ত খেললেন মাদিহ তালাল। নতুন মরশুমে ফরাসি মিডিফল্ডারের লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপানো কার্যত নিশ্চিত। এদিন তালালকে আটকাতে হিমশিম খেলেন হিজাজি মাহেররা। তালাল নিজে একটি গোল করা ছাড়াও দু’টি গোল করালেন সতীর্থ উইলমার গিল ও লুকা মাজকেনকে দিয়ে। ছেলেখেলা করলেন লাল-হলুদ রক্ষণকে নিয়ে। কুয়াদ্রাত এটা ভেবেই স্বস্তি পেতে পারেন যে, নতুন মরশুমে তালালের মতো ম্যাচ উইনারকে তিনি পাচ্ছেন।
প্রথম দশ মিনিট তাও কিছুটা খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল কিন্তু পাঞ্জাবের প্রথম গোলের পরেই খেলা থেকে হারিয়ে যান কুয়াদ্রাতের ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে লাল-হলুদের প্রাপ্তি বলতে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোল। ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। ডানপ্রান্ত দিয়ে তীব্র গতিতে লাল-হলুদ রক্ষণে ঢুকে পড়ে ক্রস বাড়িয়েছিলেন টেকচাম অভিষেক সিং। চমৎকার প্লেসিংয়ে গোল করেন গিল। যদিও ২৫ মিনিটেই সায়নের সৌজন্যে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক নৈপুণ্যে পাঞ্জাব বক্সের পাশাপাশি পৌঁছে যান লাল-হলুদের তরুণ তুর্কি। এরপর বাঁ পায়ের সোয়ার্ভিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন-আদৌ কি কমিশনের অনুমতি নিয়েছে? জবাব চাইল তৃণমূল
বিরতির আগেই অবশ্য ফের পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাবকে অহেতুক থ্রো-ইন উপহার দিয়েছিলেন খাবরা। থ্রো-ইন থেকে বল পেয়ে একক দক্ষতায় ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তালাল। মিনিট দুয়েক পরেই তালালের শট অল্পের জন্য বারের বাইরে যায়। মরিয়া কুয়াদ্রাত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বিষ্ণু ও সায়নকে তুলে নিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন আমন সিকে ও শ্যামল বেসরাকে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে ৬২ মিনিটে তালালের পাস থেকে পাঞ্জাবের তৃতীয় গোলটি করেন গিল। এর পরেই পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৭০ মিনিটে মাজকেনে গোলটাও তালালের পাস থেকে।