প্রতিবেদন : কাতারে শান্তি আলোচনা চলাকালীন প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধি তথা হামাসের শীর্ষনেতা হানিয়ার তিন পুত্রকে খতম করল ইজরায়েল। এই ঘটনায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ঘিরে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে।
বুধবার পশ্চিম এশিয়ায় ইদের উৎসবের মধ্যেই গাজায় বেলাগাম হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই পূর্বপরিকল্পিত হামলায় প্যালেস্টাইনের হামাস গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষনেতা তথা রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তিন পুত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। হানিয়া নিজেই তাঁর পুত্রদের মৃত্যুর কথা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-স্মার্ট পঞ্চায়েতের পর আর একধাপ এগোল রাজ্য, পঞ্চায়েতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
হামাসের শীর্ষনেতা হানিয়া বলেন, জেরুজালেম এবং আকসা মসজিদ মুক্ত করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে আমার তিন সন্তান। গাজা শহরের পশ্চিমে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশের সেনা। পূর্বপরিকল্পিত এই হামলায় হানিয়ার তিন পুত্র হাজেম, আমির ও ইসমাইল নিহত হন। প্রাণ হারান হানিয়ার তিন নাতি-নাতনিও। শরণার্থী শিবির থেকে বেরিয়ে একটি গাড়িতে ওঠার সময় তাঁদের উপর যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইজরায়েলি সেনা। ঘটনাচক্রে যেসময় হামাস নেতার তিন পুত্র ও নাতি-নাতনিদের খতম করা হয়, সেই সময় কাতারের রাজধানী দোহায় ইজরায়েলের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন হানিয়া। সেখানেই তাঁর কাছে পারিবারিক বিপর্যয়ের খবর আসে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বৈঠক চলাকালীন প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিকেশ করার ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি বৈঠক ফলপ্রসূ হবে?
আরও পড়ুন-প্রথম দফার ভোটে রাজ্যে ৪২৮ মহিলা পরিচালিত বুথ
একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজরায়েলের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সূত্র খুঁজতে এই বৈঠক হয় কাতারের উদ্যোগে। তিন পুত্রের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতা হানিয়ার বক্তব্য, আমার পুত্রদের মেরে ইজরায়েল যদি ভাবে হামাসকে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। আমার দেশের মানুষের মতোই শহিদ হয়েছে আমার পুত্ররা। প্রসঙ্গত, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইজরায়েলি হামলায় হানিয়ার আরও এক পুত্রের মৃত্যু হয়। হামলায় মারা গিয়েছেন হানিয়ার ভাই ও ভাইপো। হানিয়া নিজেও ইজরায়েলের হিটলিস্টে। তবে দু’পক্ষের এই অনড় মনোভাব ফের প্রশ্ন তুলে দিল যুদ্ধবিরতি এবং পশ্চিম এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে।