শিয়রে নির্বাচন। রাত পোহালেই উত্তরের জেলায় (North Bengal) ভোট। এই আবহে রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রচারে বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন মঞ্চ থেকেই বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এই রাজ্যে সিপিএম বিজেপির হয়ে কাজ করছে, কংগ্রেসও বিজেপির হয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন-রাজ শিল্পার প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
গতকাল ছিল রামনবমী। রাম নবমী প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডিআইজি-কে বদল করলেন কেন? যে লোকটা জেলাটাকে চিনত, তাকে সরালেন কেন? এগুলো খুব স্পর্শকাতর জেলা। আমাদের অনেক কষ্ট করে সামলাতে হয়। মিছিল তো আমাদের লোকেরাও করেছে। এটা আপনাদের একার সম্পত্তি নয়। মিছিল তো প্রার্থনার জন্য, শান্তির জন্য করি।” মুর্শিদাবাদে আহত হয়েছেন ওসি, মোবাইল বের করে সেই ছবি দেখালেন তিনি। বলেন, “কে আক্রমণ করার অধিকার দিয়েছে? মা দুর্গাই অধিকার দেয়নি। মা দুর্গা অসুর বধ করেছিল, আপনাদের মতো অসুরদের বধ করার জন্য মা দুর্গার প্রয়োজন আছে। ১৯ জন আহত হয়েছেন। ওসি আহত হয়েছেন। আমার কাছে ছবি আছে। আমি উত্তেজনা ছড়াতে চাই না। রাম নবমীর আগের দিন কেন হঠাৎ করে ডিআইজি-কে সরিয়ে দিলেন? এই পরিকল্পনার জন্য?” এরপরই নিজের মোবাইলটি চেয়ে নেন তিনি। ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ”এই ছবিটা কার? মাথা ফাটিয়ে দিলেন আপনারা, মারলেন আপনারা। আর কমিশনে গিয়ে বলছেন তৃণমূল আক্রমণ করেছে। বিজেপি বিধায়ক কেন গ্রেফতার হবেন না?”
আরও পড়ুন-ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর, জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা পরিযায়ী শ্রমিক
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদের ঘটনা আমি যদি বলি পরিকল্পিত! সংখ্যালঘুদের নামে মিথ্যা কথা বলতে বলা হয়েছে। পরশু দিনের ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি বিজেপি। একই জায়গায় পরের দিন গিয়ে প্রথম আক্রমণ করল কারা? বিজেপির বিধায়ক দলবদল নিয়ে গেলেন। রামনবমী মিছিল করতে গিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে যেতে আপনাকে কে বলেছে?”
এদিন তিনি মিঠুন চক্রবর্তীকে নিশানা করে বলেন, ”মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার এমপি করেছিলাম। জানতাম না বাংলার আর এক জন বড় গদ্দার। আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নীচু করে দিয়ে এসেছিল, শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। ভয়ে আরএসএস অফিসে চলে গিয়েছিল। যাঁরা দো আঁশলা, যাঁদের আদর্শ নেই, তাঁদের আমি মানুষ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন-তাপপ্রবাহের জেরে স্কুলের গরমের ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে প্রচারে আসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনি নাকি পাহাড়ে আসছেন ভাষণ দিতে। নিজের রাজ্যটাকে আগে সামলাও। উত্তর প্রদেশে তো কেউ কথা বলতে পারে না।’ কেন্দ্রের সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির এত বড় সাহস, বলছে তিন মাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। আমি বলি, কে হরিদাস? সাহস থাকলে দেখান। মায়ের আঁচলের কত দাম জানেন? আপনারা সারাজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস। মা লক্ষ্মীর অধিকার কাড়তে এসেছে? লজ্জা করে না। মেয়েদের সম্মান জানাও। বিলকিস আজও কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাথরাসের ঘটনার কোনও বিচার হয়েছে? বিধানসভায় বলেছিল ২০০ পার করবে। ৭৫-এই থেমে গিয়েছিল। এবার বলছে ৪০০ পার করবে। আমি বলছি ২০০-ও পার হবে না। সার্ভে রিপোর্টে বিশ্বাস করবেন না। বিজেপির টাকায় ওই সার্ভে হয়।’’