ব্যুরো রিপোর্ট : লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হতে চলেছে উত্তরের তিন কেন্দ্রে— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। শুক্রবার। ভোটকর্মীরা ইভিএম মেশিন নিয়ে নিজেদের বুথে চলে গিয়েছেন। প্রশাসনের প্রস্তুতি সারা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দিনের তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রির ওপরে। প্রখর রোদে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। তিন কেন্দ্রের গণনা হবে ৪ জুন। কিন্তু পরাজয় টের পেয়ে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই বিজেপি সন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বহু জায়গায় বোমাবাজি করছে। গোসানিমারিতে দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। কোথাও আবার টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে দিয়েও নানাভাবে তৃণমূল প্রার্থী ও নেতৃত্বকে হয়রান করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সবই দেখছেন। তারা ভোটবাক্সেই এর জবাব দেবেন। বিজেপির হাত থেকে বুথগুলিকে রক্ষা করতে বহু কেন্দ্রে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন-তুঘলকি আনন্দে মেতেছেন পদ্মপাল, পাশে জুটেছে একদল স্বার্থান্বেষী
আলিপুরদুয়ারে নির্বিঘ্নে ভোট করতে সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। যেহেতু এখানে বহু বুথ জঙ্গলঘেরা, বন্য প্রাণীদের হাত থেকে ভোটকর্মীদের বাঁচাতে সতর্ক প্রহরায় বনকর্মীরা। এ ছাড়াও আচমকা ঝড়বৃষ্টি হলে এবং তার দরুন কোনও সমস্যা হলে তা মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। আলিপুরদুয়ারে মোট ভোটার ১৭,৭২,৮৭৭। পুরুষ ৮,৮৮,৭৯৮ ও মহিলা ৮,৮৪,০১৫।
কোচবিহারে ১৪ জন লড়ছেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (তৃণমূল), নিশীথ প্রামাণিক (বিজেপি), নীতীশচন্দ্র রায় (ফরওয়ার্ড ব্লক) ও পিয়া রায়চৌধুরী (কংগ্রেস)। মোট ভোটার ১৯,৬৬,৫৬৩। পুরুষ ১০,১৪,৬১৩ এবং মহিলা ৯,৫১,৯১৭। তৃতীয় লিঙ্গ ৩৩। ভোটকেন্দ্র-২০৪৩। স্পর্শকাতর বুথ ১৯৬। মোট ভোটকর্মী ১২,১৮০।
আরও পড়ুন-সিআরপিএফ নিয়ন্ত্রণ, বাড়িতে সশস্ত্র দুষ্কৃতী জড়ো নিশীথের, কমিশনে তৃণমূল
জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ভোটার ১৮,৮৫,৯৬৩। মহিলা ৯,২৭,৩৩৯ এবং পুরুষ ৯৫৮৬১১। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৩। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র থেকে অ্যাম্বুলেন্সে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। জেলাশাসক শ্যামা পারভিন জানান, গরমের কথা মাথায় রেখে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ছাউনির ব্যবস্থা রয়েছে। জেলায় সমস্ত বুথ মিলে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। রাজ্য পুলিশ ৮ হাজার। জেলার মোট বুথ ১৯০৪। স্পর্শকাতর ৩৯৯। প্রশাসন ১৮টি বুথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় মডেল বুথ ১৪৯ এবং থিম বুথ ১৩। মহিলা পরিচালিত বুথ থাকছে ১৪৯টি।
বুথ অনুযায়ী একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দুটি বুথ থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে চারজন। দুইয়ের বেশি বুথ হলে আটজন। এছাড়া রাজ্য পুলিশ থাকবে একজন করে। কুইক রেসপন্স টিম ২৭টি। প্রত্যেক টিমে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আরটি মোবাইল বা হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড প্রত্যেক থানায় একটি করে থাকবে। সব বুথে
হবে ওয়েবকাস্টিং।