প্রতিবেদন : স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলাকে রোজগারের সন্ধান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়েছেন কয়েক লক্ষ মহিলা। সেই ধাঁচেই এবার রাজ্যের বেকার যুবকদের রোজগারের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। যা আমাদের দেশে নজিরবিহীন। প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সেই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার পথে রাজ্য সরকার। সদ্যপ্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘আনন্দধারা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন : শিশুদের কোভিড সুরক্ষায় তৎপর রাজ্য সরকার ঢেলে সাজানো হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে
মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মতোই করে পুরুষদের গোষ্ঠী তৈরি হবে। যা সরকারিভাবে ‘প্রোডিউসার্স গ্রুপ’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই গ্রুপগুলি ছোট ছোট ব্যবসার কাজে নিযুক্ত থাকতে পারবে। সাহায্য করবে সরকার। ব্যবসার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে একাধিক স্কিম চালু রয়েছে। সেই স্কিমগুলিকে একছাতার তলায় এনে পুরুষদের সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্য সমবায় দফতরের আওতায় যে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি আছে, সেগুলি থেকে এই গ্রুপের সদস্যরা সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন। জানা গিয়েছে, এই প্রস্তবিত গ্রুপের প্রতিটি সদস্য প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তবে কে কত টাকা ঋণ নেবেন, তা নির্ভর করবে তাঁদের কাজ বা ব্যবসার ধরনের উপর। সবাইকে সমান অঙ্কের টাকা ঋণ নিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। প্রতিটি গোষ্ঠীকে ঋণের হিসেব কষতে হবে এবং সেই তথ্য ব্যাঙ্ক শাখায় জমা করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যাঙ্ক প্রতিটি সদস্যের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা যাচাইয়ের পর ঋণের ব্যবস্থা করবে। রাজ্যের কৃষকরাও যাতে এই ধরনের গ্রুপ তৈরি করতে পারেন, তারও উদ্যোগ নেবে সরকার। সেক্ষেত্রে সবারই যে কৃষিজমি থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ভাগচাষ বা অন্যান্য ক্ষেত্রের কৃষকদেরও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। গ্রুপের সদস্যরা সবাই মিলে যে কোনও একটি নির্দিষ্ট আর্থিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সর্বোচ্চ ১০ জন সেই গ্রুপে থাকতে পারেন। তবে সুষ্ঠুভাবে একটি গোষ্ঠীকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চার থেকে পাঁচ জনকে নিয়েই গ্রুপ গড়তে চায় রাজ্য। উদ্যানপালন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, খাদ্য-প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ বা পণ্য মজুতকরণের মতো ব্যবসা বেছে নিতে পারবেন পুরুষরা।