প্রতিবেদন: বিজেপি-শাসিত রাজ্যে সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা অসহায় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তার আরও এক প্রমাণ মিলল হাতেনাতে, গেরুয়া মধ্যপ্রদেশে। ২৩ বছরের এক তরুণীকে ঘরে আটকে রেখে টানা একমাস ধরে তাঁকে ধর্ষণ করল এক প্রতিবেশী। সঙ্গে ভয়াবহ দৈহিক নির্যাতন। বেল্ট দিয়ে নির্মম প্রহার। দেহের ক্ষতস্থানে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষে দিয়ে আঠা দিয়ে মুখ বন্ধও করে দেওয়া হয় ওই তরুণীর। চোখে ছিটিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়ো। এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হল বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশের গুণা।
আরও পড়ুন-মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বড় ব্যবধানে বিজেপিকে বোল্ড আউট করাই একমাত্র লক্ষ্য শর্মিলার
তরুণীটি কোনওরকমে ওই প্রতিবেশীর কবল থেকে পালিয়ে এসে থানায় পৌঁছালে তাঁর মুখচোখের বীভৎস অবস্থা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশও। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে এক তরুণীর উপরে একমাস ধরে এমন নৃশংস অত্যাচার চালানো যায়, সমালোচনার বিষয় সেটাই। তরুণীর অভিযোগ পেয়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতনকারীকে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? মাসখানেক আগে তাঁর মা তাঁকে একাই বাড়িতে রেখে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-২৯ এপ্রিল হাওড়ায় অভিষেক প্রস্তুতি বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব
এই সুযোগে তাঁকে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি। তারপরে বন্দি করে ফেলে একটি ঘরে। শুরু হয় মারধর, সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণ। তরুণীর আর্তনাদ বন্ধ করতে আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হত তাঁর ঠোঁটও। নির্যাতনকারীর দাবি, তাকে বিয়ে করে তরুণীর বাড়ি-জমি সহ সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিতে হবে তার নামে। তরুণী রাজি না হওয়ায়, অত্যাচারের মাত্রা বাড়তেই থাকে। এভাবেই কেটে যায় মাসখানেক। শেষে সবকিছু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় একদিন পালানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। সু্যোগও মিলে যায়। ৫ কিমি পায়ে হেঁটে যখন থানায় পৌঁছান তখন কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না তাঁর। মুখ এবং সারাদেহ ক্ষতবিক্ষত। ঠোঁট আঠা দিয়ে জোড়া। কোনওরকমে সবকিছু জানান পুলিশকে। অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।