প্রতিবেদন : গত ১৫ বছর দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সাংসদ রয়েছে। আপনারা ভোট দিয়ে তাদের সংসদ বানিয়েছেন। কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু কী করেছে ওরা! এবার তৃণমূলকে সুযোগ দিন। দু’বছর পর আবার বিধানসভার নির্বাচন। আগামী দু’বছরের মধ্যে আপনাদের চাহিদা, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারলে ২০২৬-এ তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দিয়ে প্রতিশোধ নেবেন। পাঁচ বছর চাই না। দুটো বছর দিন। এদিন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, এখনও দু’দিন সময় আছে, বিজেপির কোনও সর্বভারতীয় নেতার ক্ষমতা থাকলে গত ১০ বছরের দার্জিলিংয়ের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে প্রতিযোগিতা হবে। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে কথা হবে। একদিকে আমি থাকব অন্যদিকে আপনিও থাকবেন। বিজেপি কী করেছে আর আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, চা-বাগান শ্রমিক, মাটিগাড়া, পাহাড়ের জন্য কী করেছে ও বিজেপি কী করেছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। ভোকাট্টা করে মাঠের বাইরে করে দেব। মঙ্গলবার দার্জিলিং কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে গোঁসাইপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, গোপাল লামা দীর্ঘদিন সরকারি আধিকারিক ছিলেন। এই জেলার ভূমিপুত্র। মাটির সঙ্গে মিশে মানুষের সঙ্গে কাজ করেছেন। মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির প্রার্থীকে কোনওদিন বিপদে-আপদে আপনারা পাননি। তার বাড়ি দিল্লিতে, সেখানে দিল্লির নেতাদের ক্রীতদাসত্ব তল্পিবাহকতা করে আপনাদের বাড়ির টাকা, ১০০ দিনের টাকা রাজু বিস্তারা বন্ধ করেছে।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় চাকরি বিক্রি করেছে গদ্দার, ভোটের জন্যই কেষ্টকে জেলে পাঠানো হয়েছে
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) বলেন, আগামী ৪ জুন নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর দেশে গণতান্ত্রিক মানুষের স্বার্থে কাজ করা ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল একটি সরকার তৈরি হবে। তারপর এই ১১টি গোর্খা জনজাতিকে তফসিলি তালিকাভুক্ত করব। এই গ্যারান্টি আমি দিয়ে যাচ্ছি, আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। অভিষেক বলেন, গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে আপনাদের জানি। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচন যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়। এক বা দু’দফায় নির্বাচন হলে এই প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষকে এতো কষ্ট পেতে হত না। এই বাংলা বিরোধীরা, দার্জিলিং বিরোধীরা মানুষকে মৃত্যর মুখে ঠেলে দিয়ে এর আগে ৮ দফা নির্বাচন করেছিল। এবার ৭ দফায় করছে। অন্য রাজ্যে তো এত দফায় হচ্ছে না! এদিনও কোচবিহারের বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুমকির অডিও শোনান সভায়। বলেন, যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চান তাদের ভোট দেবেন!