বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল ১০টি হলুদ অ্যানাকন্ডা (Anaconda)। বেঙ্গালুরুর শুল্ক দপ্তরের তরফে জানানো হয়, ভারতে বণ্যপ্রাণী পাচার গুরুতর অপরাধ। অতএব অভিযুক্ত এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যাংকক বিমানবন্দরে সকলের চোখ এড়িয়ে বিমানে উঠলেও বেঙ্গালুরুতে সেই ব্যক্তির ব্যাগ চেকিং-এর সময়ে কর্মীদের নজরে আসে স্ক্রিনে সাপের ছবি। এরপরেই ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন-ফের সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রামদেব, ক্ষমা চাওয়ার বিজ্ঞাপন কি মাইক্রোস্কোপে দেখতে হবে?
বন্যপ্রাণী পাচারের জন্য ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং অ্যানাকোন্ডাগুলিকে থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি ২০শে এপ্রিল রাত ১০.৪৪টায় ফ্লাইট নং এফডি -১৩৭-তে কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। এই মুহূর্তে বাজারে একটি ছোট ইয়েলো অ্যানাকোন্ডার মূল্য আনুমানিক ৪০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা। সাপগুলি ২ ফুট এবং ২.৫ ফুটের মধ্যে এবং সেগুলিকে তুলোর ব্যাগে মুড়ে চেক-ইন ব্যাগেজে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, অ্যানাকোন্ডা দক্ষিণ আমেরিকার একটি স্থানীয় প্রজাতি এবং ব্যাংকক এশিয়ায় বন্যপ্রাণী পাচারের কেন্দ্রস্থল। সর্প বিশেষজ্ঞদদের মতে এই অ্যানাকোন্ডাগুলি প্রায় দুই মাস বয়স। প্রাপ্তবয়স্করা ১৬ ফুট-১৮ ফুট পর্যন্ত বড় হয় এবং তাদের পাচার করা একপ্রকার অসম্ভব। হলুদ অ্যানাকোন্ডা তিনটি প্রকারের মধ্যে একটি। যেহেতু তারা শিশু ছিল, তারা সহজেই পাচার হতে পারে। বিমানবন্দর কাস্টমস ও চোরাচালানের বিষয়ক গোয়েন্দারা এই সংক্রান্ত তথ্য আগেই পেয়েছিল। তারপরেই লাগেজ স্ক্যান করার সময় তারা সাপগুলোও শনাক্ত করে।