প্রতিবেদন : মুখ পুড়ল বিজেপির। বীরভূমে ভোটযুদ্ধে নামার আগেই গোল খেল তারা। মনোনয়ন বাতিল হল তাদের বীরভূমের প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের (Debasish Dhar)। একাধিক গুরুতর অভিযোগে প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স রয়েছে, যা এখনও শেষ হয়নি। সম্প্রতি একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন ওই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স ক্লিয়ার হয়নি এখনও। তৃণমূলের তরফেও এ কথা বলা হয়েছিল। শুক্রবার কমিশনের তরফে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করা হল। তাঁর মনোনয়ন অসম্পূর্ণ থাকায় বাতিল হল। এই ঘটনায় দিশেহারা রাজ্য বিজেপি। খবর পৌঁছেছে দিল্লিতেও। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন এরকম ভিজিলেন্স থাকাও একজন প্রাক্তন আইপিএসকে দাঁড় করানো হল! কিন্তু উত্তর দেওয়ার মতো জায়গায় নেই বিজেপির বর্তমান ভোট ম্যানেজাররা।
দেবাশিস ধর (Debasish Dhar) আইপিএস পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন তা প্রশাসনিক স্তরে ছাড়পত্র পায়নি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বীরভূমে বিকল্প প্রার্থী দিল বিজেপি। এর আগের ভোটে শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে নিরীহ ভোটারদের উপর গুলি চালনার ঘটনায় নাম জড়ায় কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে ভিজিল্যান্স শুরু হয়।
আরও পড়ুন- যুবককে মার, অসুস্থ ভোটারকে ঢুকতে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনীর
ভোটের মুখে পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন দেবাশিস। তাঁকে বীরভূমে প্রার্থীও করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার না হওয়ায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করল কমিশন। ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। এমনিতেই বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। এই আসনে তাদের জেতার কথাও নয়। কিন্তু চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়ে বিজেপির ঝান্ডাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। টিকিট পাওয়া— যেটা একরকম নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিলেন তিনি। বিজেপিও ভেবেছিল এই আসনটি এবার তাদের দখলে যেতে চলেছে। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে এই আকস্মিক মনোনয়ন বাতিল। এমনিতেই ঢিলেঢালা প্রচার ছিল। প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের পর দিশেহারা জেলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।