সংবাদদাতা, নদিয়া : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে সামনে এনে প্রচার চালাচ্ছেন। কৃষ্ণগঞ্জে ব্লকে এই প্রকল্পের উপভোক্তা ৩৪ হাজার ৯৮৩। হাঁসখালি ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েত নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক বিজেপির। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৬ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের হার হওয়ার পর সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছে দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল এই ব্লকের প্রতিটি পরিবারই কিছু না কিছু পেয়েছে।
আরও পড়ুন-কাপ যুদ্ধে যুবির বাজি সূর্য-বুমরা
তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রান্তিক ও নিম্নবর্গীয় মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করেছেন তাতে সকলেই খুশি। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতৃত্ব দলের কর্মিবৈঠক থেকে প্রচারে সর্বত্রই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হাতিয়ার করেছেন। এই প্রকল্পে সাম্প্রতিক কালের বাড়তি টাকা-সহ যাবতীয় সুফল পেয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মহিলারা। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটারের কাছে এই বিষয়ে প্রচার নিয়ে পৌঁছাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মহিলা ভোটাররা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে খুশি। ব্লকে মহিলা ভোটার ৬০ হাজার ৪৬৭ জন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পরই কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূল নেতৃত্ব উঠেপড়ে নেমেছেন। গ্রামেগঞ্জে কর্মিবৈঠক করছেন। কীভাবে প্রচার হবে তা নিয়েও চলছে আলোচনা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁকে প্রণামও জানাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা মহিলারা। এ প্রসঙ্গে মাজদিয়ার সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, ‘এই টাকা খুব কাজে লাগে। সংসারের কাজ, সন্তানদের পড়াশুনার জন্যও খুব দরকার এই টাকার। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম।’ কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘মহিলা ও আমরা যৌথভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’