প্রতিবেদন : তফসিলিদের (Uttar Pradesh- Tapasili) ওপর অত্যাচারের ভিত্তিতে গোটা দেশে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলি। সেসব রাজ্যে তফসিলি জাতি উপজাতিদের উপর আক্রমণের হার শুনলে শিউরে উঠতে হবে। শনিবার বর্ধমানের জামালপুরের সভা থেকে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের সমর্থনে জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, মায়েরা দিদিরা ভাইয়েরা বোনেরা বিজেপি কথায় কথায় তফসিলিদের ধারক ও বাহক হিসেবে দাবি করে। এখন যে কাগজ আমি নিয়ে এসেছি সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের একটা জবাব। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও মুখপাত্রের কাগজ নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের কোনও দফতরের কাগজ নয়। ২০২৩ সালে আগাস্ট মাসে রাজ্যসভায় একজন সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন। আজ জামালপুরের মিটিংয়ে সে তথ্য হাতে নিয়ে আমি দেখাচ্ছি। এটা তৃণমূলের কোনও নেতার কথা নয়। তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রের সামাজিক ও ন্যায় বিচারক ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। মন্ত্রীর নাম রামদাস আটোওয়ালে। গত পাঁচ বছরে তফসিলি জাতি উপজাতি মানুষদের উপর অপরাধের কত ঘটনা ঘটেছে? কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, তফসিলি জাতি উজাতির উপর ২০১৭ সালে ৪৩ হাজারটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১-এ সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার। বিজেপির আমলে পাঁচ বছরে অপরাধের হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০%। ২০২১ সালে তফসিলিদের ওপর ৫১ হাজার অপরাধের ঘটনা সংঘটিত হয়। এই অপরাধে কোন রাজ্য শীর্ষে রয়েছে জানেন? বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার উত্তরপ্রদেশ। এক বছরে ১৩১৪৬টি ঘটনা ঘটে। এ-বছর বাংলায় তফসিলিদের (Uttar Pradesh- Tapasili) কটা ঘটনা ঘটে? ১০৮টা। একদিকে ১৩ হাজার, একদিকে একশো আট। আমরা চেষ্টা করব আগামী দিনে এই ১০৮টাও যাতে শূন্যে পরিণত হয় তার চেষ্টা করব। তফসিলিদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে দু নম্বর রাজ্যের নাম রাজস্থান। তিন নম্বরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, চারে রয়েছে মহারাষ্ট্র, পাঁচে বিহার। এই সবকটি রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি। তার মানে ডবল ইঞ্জিন সরকার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, অসীম সরকার ভোট চাইতে গেলে জিজ্ঞেস করবেন দু-তিন বছর ধরে আপনি বিধায়ক। বনগাঁ ও সংলগ্ন রানাঘাট অঞ্চলের কী উন্নয়নের কাজ আপনার সরকার করেছে? উন্নয়নের জন্য আপনাদের সরকার কী করেছে? মা-বোনেরা এই প্রশ্ন করবেন।
আরও পড়ুন- পুলিশকর্মীকে ‘খলিস্তানি’ আক্রমণে কেন চুপ? বিজেপি প্রার্থীকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর
পূর্ব বর্ধমান জেলার আলুচাষীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা অনেক দামে পাঞ্জাব থেকে বীজ আনেন। বেশি দামের সার কিনতে হয়। ইউরিয়া কিনতে হয়। পটাশ কিনতে হয়। তাঁরা লাভের মুখ খুব একটা দেখেন না। এই তো বিজেপির আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি। আচ্ছে দিনের স্বপ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী সব দিয়েছেন। এটাই দিদির গ্যারান্টি। আর মোদির গ্যারান্টি হল মোদি নিচ্ছে। সবই নিয়ে নিচ্ছে।