প্রতিবেদন : শুধু রাজ্য সরকার নয়, বাংলাকে বদনাম করতে চক্রান্ত করছে বিজেপি। ভোটের বাংলায় চক্রান্ত করতে গোপনে বোমা মজুত করছে তাঁরা। হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে ফাঁস হয়ে গিয়েছে সেই ঘৃণ্য চক্রান্ত। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি সন্দেশখালির ওই বাড়িতেও বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত করেছিল তারা? দুটি ঘটনার নেপথ্যে কি একই র্যাকেট কাজ করছে? সন্দেশখালির ওই অস্ত্র উদ্ধার করার নামে এনএসজি নিয়ে গিয়ে নাটক করা হল। তাহলে হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের পর এবার এনএসজি বা এনআইএ-কে দেখা যাবে তো (Where is NSG)? শনিবার এই প্রশ্নই তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও অন্যতম মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। তৃণমূলের দাবি, অবিলম্বে ঘটনায় যুক্ত বিজেপি নেতা নিমাই দাসকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। বিজেপির যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে সেই গদ্দার অধিকারী থেকে বি এল সন্তোষ— সবাইকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থীর ছেলের বিরুদ্ধে হল এফআইআর দায়ের
কুণাল বলেন, সন্দেশখালির ওই নির্জন বাড়িতে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কিছু রেখে গিয়েছিল। তা উদ্ধারের নামে এনএসজি নিয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের নাটক সবাই দেখেছে। নাটককে বিশ্বাসযোগ্য করতে যে এনএসজির মতো এজেন্সিকে ব্যবহার করা যায় তা দিল্লির বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই একই লোকসভা কেন্দ্রের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের একটি বাড়িতে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটল। বিস্ফোরণে বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। অনেকে গুরুতর আহত। অভিযোগ, এলাকার বিজেপি নেতা তথা একুশের নির্বাচনে হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী নিমাই দাসের ভাইয়ের বাড়ি সেটি। এলাকাটিতে বিজেপিরই পঞ্চায়েত। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরমে মজুত করা বোমা ফেটে গিয়েছে। ঘটনার পরই বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং অভিযোগ, পুলিশ আসার আগে মজুত করা বোমা ও বিস্ফোরক সরিয়ে ফেলে। এখন প্রশ্ন, বোমা ফাটল। বিজেপি নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে। যে নিমাই দাসকে গদ্দার অধিকারী থেকে বি এস সন্তোষের মতো শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা যায়। তাহলে এখন হাসনাবাদেও এনএসজি, এনআইএ-কে দেখা যাবে তো (Where is NSG)? তৃণমূলের দাবি, অবিলম্বে নিমাই দাসকে গ্রেফতার করতে হবে এবং ওখানে অর্গানাইজড ভাবে বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল কিনা তারও তদন্ত করতে হবে। নিমাই দাসকে যাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সেই গদ্দার অধিকারী, বি এল সন্তোষকে জেরা করতে হবে, প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে, এই গ্যাং এলাকার কোথাও গোপনে অস্ত্র মজুত করছে কিনা, যা পরে এনএসজিকে দিয়ে উদ্ধার করিয়ে আবার তৃণমূলকে বদমান করবে। সবটাই তদন্তের আওতায় আনতে হবে।