প্রতিবেদন : গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই— এবার এই স্লোগানকে সামনে রেখেই শ্রমিক দিবসে কাজ বন্ধ রাখার দাবি তুললেন সোনাগাছির দেহ ব্যবসায়ীরা। আজ মে দিবসে বন্ধ সোনাগাছি।
মঙ্গলবার এক জমায়েত করেন যৌনকর্মীরা। সেখানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যৌনকর্মীরা হাজির হন। সেখানে তাঁদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত নানা আলোচনা করা হয়। সমাজে তাঁদের অবস্থানকে কেন এভাবে অবহেলার করে রাখা হবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়। সেখান থেকে তাঁরা দাবি তোলেন, কাস্টমার ও যৌনকর্মীর মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হলে তার মাঝে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন-স্টয়নিসের দাপটে জিতল লখনউ
পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এমনকী স্বেচ্ছায় কেউ যদি যৌনকর্মীর পেশা বেছে নিতে চান তবে তাঁকে পুলিশ হয়রান করা বা তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তাঁদের দাবি, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে। তার পরেও তাঁদের উপর নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। দুর্বারের নেত্রী বিশাখা লস্কর বলেন, দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকরা কাজ করেন। তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিকের মর্যাদা পান। শ্রমিক হওয়ার সুবাদে তাঁদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যৌনকর্মীরা সেই শ্রমিকের মর্যাদাটুকুও পান না। সেই সঙ্গেই দুর্বারের দাবি, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডের জন্য যেন তাঁদের বাড়ির ঠিকানা দাবি না করা হয়। এতে তাঁদের আরও অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের বাড়ির ঠিকানা যাতে আড়াল রাখা হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বলা হয়। কারণ রেশন কার্ডে বা আধার কার্ডে যদি সোনাগাছি নামটি নির্দিষ্ট করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই সেটা সমাজের চোখে অন্যরকম মনে হতে পারে। সেকারণেই এই দাবি করা হয়। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা সমাজের চোখে ব্রাত্য। তাঁরাই চাইছেন শ্রমিকের অধিকার।