কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছে, করোনা টিকা কোভিশিল্ডের (Covishield) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা’ জলঘোলার পর থেকে এই কথা স্বীকারও করে নেয়। ফেব্রুয়ারিতে আদালতের এক নথিতে ওই সংস্থা জানায় তাদের তৈরি প্রতিষেধকের ফলে ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (টিটিএস)-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এই ঘটনার পরেই প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ ভারতীয় এই ভ্যাকসিনই নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরে গেল। ঠিক কী কারণে এমনটা হল সেই নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-নারকেলডাঙা এলাকায় যুবকের রহস্যজনক মৃ.ত্যু
কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছিল দেশবাসী। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন টিকাই দেশে দেওয়া শুরু হয়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সকলকেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। টিকা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য ছাড়া তাতে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। কিন্তু হঠাৎ জানা গিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মোদীর ছবি। কোভিশিল্ড বিতর্কের পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে সকলে। যদিও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানায় লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।২০২২ সালে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তবে ভোট শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। তখন প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর কথা মনে না হয়ে ঠিক টিকা বিতর্কের মাঝেই ছবি সরানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আচরণ বিধির প্রশ্ন উঠলে সেটা আরও আগেই হওয়া বাঞ্চনীয় তবে হয় নি।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে নিয়োগে দুর্নীতি, চাকরি গেল ২২৩ জনের
প্রসঙ্গত, অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি টিকা যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকের থ্রম্বোসিসের সঙ্গে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম দেখা দিয়েছে। একদিকে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে, অন্যদিকে কমেছে প্লেটলেটের সংখ্যা। এই রোগে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। ব্রিটেনের আদালতে এই টিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সিরাম ইনস্টিটিউট এই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করে।