উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কোঝিকোডে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওয়েস্ট নাইল ফিভারের ( west nile fever) পাঁচটি ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। জেলা নজরদারি কর্মকর্তারা এই মর্মে জানান শিশু সহ সংক্রামিত ব্যক্তিরা সকলেই সুস্থ হয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এরপর থেকে তাদের এলাকায় নতুন মামলার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও এর মধ্যেই একজন ব্যক্তির ভেক্টর-বাহিত সংক্রমণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি রুটিন পদ্ধতি হিসাবে, যাদের মধ্যে রোগের উপসর্গ দেখা গিয়েছে এবং চিকিৎসা করেছেন তাদের নমুনা পুনের জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-তেলঙ্গানায় দেওয়াল ভেঙে শিশু সহ মৃ.ত ৭
জানা যাচ্ছে, কিউলেক্স প্রজাতির মশা এই ওয়েস্ট নাইল ফিভার সংক্রমণের কারণ। কিউলেক্স প্রজাতির মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাল জ্বরের সতর্কতার বার্তা দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অতি দ্রুত নিতে হবে। এই সংক্রমণের প্রধান উপসর্গগুলি হল মাথাব্যথা, জ্বর, মাথা ঘোরা, পেশীতে ব্যথা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস। মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে বেশিরভাগ রোগী উপসর্গ অনুভব করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন-”ডানলপ খুলতে দেয়নি বিজেপি”, হুগলিতে কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, জাপানি এনসেফালাইটিসের তুলনায় এই রোগে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম যদিও লক্ষণ একই রকম এবং কিছুটা হলেও বেশি বিপজ্জনক। ওয়েস্ট নাইল ফিভার ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই, তাই প্রতিরোধই মুখ্য চিকিৎসা। সতর্কবার্তা হিসেবে ঢাকা পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। এছাড়া মশারি ও মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করে এবং নিজের ঘর ও চারপাশ পরিষ্কার রাখার কথাও বলা হয়েছে।