”ডানলপ খুলতে দেয়নি বিজেপি”, হুগলিতে কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তাই হুগলির (Hooghly) জনসভা আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে গান দিয়ে শুরু করেন।

Must read

আজ রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti)। তাই হুগলির (Hooghly) জনসভা আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে গান দিয়ে শুরু করেন। মঞ্চ থেকেই প্রচার সভার পর তিনি রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় ফিরবেন বলে জানান। তিনি বলেন,‘‘একমাস আট দিন পরে আজ বাড়ি ফিরব।’’ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বললেন, ‘‘রচনাকে এখানে প্রার্থী করেছি তার কারণ হুগলিতে যিনি বিজেপি প্রার্থী তিনি অনেকের গলার লকেট। খারাপ ভাবে বলছি না।’’ হুগলির হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্প নিয়ে তিনি বলেন নারকেল গাছের রস থেকে চিনি তৈরী হয় হুগলিতে। এই রসের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘ওটা কম চিনি। যাঁরা বেশি চিনি খেতে পারে না তাঁরাও খেতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্গানিক।”

আরও পড়ুন-প্রকাশিত এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরেই কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সিঙ্গুরের জন্য আমি ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। অনেক উন্নয়নও করা হয়। ৪৩৪ একর জমিতে নিয়মিত চাষ হচ্ছে। ওখানে একটি আগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরী হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরী হচ্ছে। জমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সকলকে ২০০০ টাকা করে এখনও দেওয়া হয়। ডানলপে যে সব কোম্পানি বন্ধ আছে, ২০১৬ সালে আমরা বিল পাশ করে বলেছিলাম, ডানলপ আর অন্য সংস্থাগুলি আমাদের হাতে দিন। আমরা চালাব। কিন্তু ওরা দেয়নি। শ্রমিকদের মাইনে বন্ধ করে দিয়েছিল। আজ পর্যন্ত দিল্লির সরকার আমাদের দেয়নি। দেবে কী করে? এর মালিক যিনি সে বিজেপির এক নম্বর লোক। সেই ২০১৬ সাল থেকে যাঁরা বেতন পান না তাঁদের প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিই। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষারও খেয়াল রাখা হয়। নিজেরাও খুলবে না আমাদেরও খুলতে দেবে না।”

আরও পড়ুন-প্যালেস্টাইনের পোস্টে লাইক দেওয়ায় মুম্বইয়ের শীর্ষ স্কুলের প্রিন্সিপালকে বরখাস্ত

রাজ্যে বিভিন্ন মন্দিরের কাজ নিয়ে এদিন তিনি বললেন, ‘‘কালীঘাটের মন্দিরে কী কাজ হচ্ছে গিয়ে দেখে আসুন। পুরীর মন্দিরের উচ্চতায় আমরা দীঘাতে জগন্নাথ মন্দির তৈরী করছি। কাজ অনেকটাই শেষ, ঠাকুর চলে এসেছে। আমরা কমপ্লিট করে সকলের দর্শনের ব্যবস্থা করবো। আমরা নিমকাঠের মূর্তি না করে রাজস্থান থেকে পাথর এনে ঠাকুর বানিয়েছি। কালীঘাট, ফুল্লরা, কঙ্কালীতলা, তারাপীঠ, গিয়েছেন? বাংলার গৌরবকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করলে সেটা বরদাস্ত করা হবে না। আমাকে যেমন সহজ মনে হয়, আমি ততটা সহজ নয়। একটা কেউ ভুল ভাল কাজ করলে আমি দু’টো থাপ্পড়ও মেরে দিই। মানুষের জন্য আমি সহজ। অন্যায় করলে সহজ নয়। তাদের জন্য আমি খুব রাফ অ্যান্ড টাফ।’’

আরও পড়ুন-‘বিজেপি চাকরিখেকো বাঘ’ সুপ্রিম নির্দেশের পর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এদিন তাঁর কথায় ঘুরে ফিরে এল রবিঠাকুরের গান ও কবিতা। ‘তুমি কি কেবলই ছবি’,’জীর্ণ পুরাতন, যাক ভেসে যাক, … ভাঙো বাঁধ ভেঙে দাও’ বলার পরেই ‘‘বিজেপিকে ভাঙো আর ভাঙনের নয়, জীবনের জয়গান গাও’’ গেয়ে ওঠেন তিনি। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ”রচনার চিহ্ন ইভিএমে তিন নম্বরে থাকবে। তিন নম্বরে ভোট দিন, বিজেপিকে বিদায় দিন।”

Latest article