সংবাদদাতা, মুরারই : সচ্ছল পরিবারের মেয়ে নয় মুসকান। বরং মুখে হাসি ফুটিয়ে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই চলার নাম মুসকান খাতুন। বাড়ি মুরারইয়ের চাতরা গ্রামে। বিপিএল তালিকাভুক্ত তার পরিবার আবাস যোজনার সুবিধাভোগী না হলেও পেয়েছে কন্যাশ্রী। তাতে পড়াশোনায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে বলে জানায় সে। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু বর্তমানে প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে যাওয়ায় আইনি জটিলতা তাকে দোটানায় ফেলে দিয়েছে। তাই আইনজীবীর পেশা বেছে নিতে চায় সে মানুষকে আইনি পরিষেবা দিতে। বাবা শেখ ইসমাইল বাড়িতে ছোট্ট একটা মুদিখানা চালান। মা জাহান্নারা বিবি গৃহবধূ। ভাই রেহান শেখ পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে।
আরও পড়ুন-আমরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়তে জানি, দাদার জয় নিয়ে নিশ্চিত ইরফান
চাতরায় স্কুল করে নলহাটিতে চারটে টিউশন পড়তে আসতে হত তাকে। মায়ের কাজেও হাত লাগাতে হয়েছে। একটি ঘরেই সবার ঠাসাঠাসি বাস। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাপ্তি ৯৪ শতাংশ নম্বর। মার্কসিটে এই কষ্টের কথা লেখা থাকবে না। তবে চাতরার সাধারণ পরিবারের মেয়ে মুসকান খাতুনের এই প্রাপ্য নাম্বারে খুশি তার গ্রামের মানুষ। স্কুলেও সে সেরা। যদিও আরও নম্বর আশা করেছিল। মুসকানের কথায়, ‘অনেক গরিব মানুষ আইনি সমস্যায় পয়সার অভাবে বিচার পান না। আইন নিয়ে পড়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই। অভাবের সংসারে বাবা কষ্টেসৃষ্টে খরচ জোগাবেন। বোলপুরে পড়তে হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রীর টাকাও এবারেও পড়াশোনায় কাজে লাগবে।’