প্রতিবেদন: ভোটের আবহে বিরোধীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নির্বাচনী ফায়দা লোটার গেরুয়া চক্রান্ত দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠল আবার। শনিবার দুপুরে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করল আপ-সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করা হলো তাঁকে, আপ-সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, বিভব কুমার স্বাতীর বিরুদ্ধে যে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্বাতীর বিরুদ্ধে, তা নিয়ে কোনও আইনগত পদক্ষেপই করল না অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ। বৈভবকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরের সামনে জেলভরো আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, নেতাদের গ্রেফতার করে আপকে দমানো যাবে না। হাতজোড় করে মোদির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীজি, এই জেল-জেল খেলা বন্ধ করুন। গোটা বিতর্কের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন আপ সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন-বিজেপির অপদার্থতার প্রতিবাদে গাধার পিঠে চেপে মনোনয়ন দিলেন নির্দল প্রার্থী
শুক্রবার সিসিটিভি ফুটেজের প্রথম ভিডিও প্রকাশের পরে শনিবারও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় আপের পক্ষ থেকে। যাতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাতী মালিওয়ালকে হেনস্থার অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবের আদৌ কোনও মিলই নেই। কেজরির আপ্তসহায়কের গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ করে শনিবার আপের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ব্ল্যাকমেলিং রাজনীতি করছে বিজেপি। গেরুয়া চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। লক্ষণীয়, দিল্লির ৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে ষষ্ঠ দফায়। বিরোধীদের অভিযোগ, আবগারি মামলায় কেজরিকে বন্দি রেখে নির্বাচনি ফায়দা লুঠতে চেয়েছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে কোভ্যাকসিনেও, বলছে গবেষণা
কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন আপ-সুপ্রিমো। প্রচারের ঝড় তুলেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাতেই ঘুম ছুটেছে গেরুয়া শিবিরের। তাই এবারে স্বাতী মালিওয়ালকে দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করে কেজরিকে বিপাকে ফেলার চক্রান্ত করছে তারা। আপমন্ত্রী অতিশী শুক্রবারই অভিযোগ করেছিলেন, স্বাতীকে দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। আপ সুপ্রিমোর আপ্তসহায়ক বিভব কুমারও শুক্রবার পুলিশে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, স্বাতী জোর করে বেআইনিভাবে সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন।