শিশুদের প্রতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর অকৃত্রিম ভালবাসার প্রতীক হিসেবে ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনটি শিশুদিবস হিসাবে পালিত হয় সারাদেশে । চাচা নেহরু সব সময়ই শিশু কল্যাণ, তাদের অধিকার, স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নের উপর জোর দিতেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কচিকাঁচাদের নিয়ে তাঁর বৃহত্তর স্বপ্ন বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ সংকটের মুখে। কোভিড অতিমারি কেড়ে নিয়েছে ছোটদের শৈশবের আনন্দ, মজা, নিরাপত্তা, সুস্থতা।
আরও পড়ুন-Sujay Chanda: সুজয় চন্দ (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা ও সংগীতপ্রেমী)
শিশুদের একাংশ এখন ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজের শিকার। শিশুদিবসের পাশাপাশি আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসও। তাই শিশু সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে সচেতন হওয়ার দিন। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করলেন বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায় এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডায়াবেটোলজিস্ট ডাঃ পল্লব বসু। আলোচনাটি তুলে ধরলেন
শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সান্নিধ্যই বড় পাওনা : ব্রজ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ওলটপালট করে দিয়েছে গোটা পৃথিবী। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা গতানুগতিক জীবনের রোজনামচায় বৃহৎ ব্যবচ্ছেদ হল এই অতিমারি । জেট যুগে এমনিতেই সবার নিয়মানুগ জীবনযাত্রা পাটে উঠতে বসেছিল, তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোড়া হল ‘সার্স কোভ টু’। করোনার থাবায় একপ্রকার ধসে পড়েছে সমাজ, অর্থনীতি, বড়, বুড়ো, শিশু, সকলেই। বিশেষ করে শিশুরা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেত্রীকে হুমকি বিজেপির
তারা আজ অনেকাংশেই অরক্ষিত। আজকে শিশুদিবস এবং বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস একই সঙ্গে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি। কারণ শিশুদিবস পালনের উদ্দেশ্যই হল শিশুদের সার্বিক কল্যাণ। আবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি এজেন্ডা হল শিশুদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ করা এবং তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এই দিনটির প্রতীক স্বরূপ নীল বৃত্তাকার লোগোটি হল ডায়াবেটিসকে পরাভূত করার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সূচক। এর লক্ষ্য হল, পৃথিবীতে কোনও শিশুই যেন ডায়াবেটিসে মারা না যায় সেই প্রচেষ্টা। এখন প্রশ্ন হল, কতটা এগোনো গেছে সেই লক্ষ্যে?
স্বাস্থ্য যখন সংকটে
বর্তমানে অতিমারির প্রভাবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়বাড়ন্ত। তাহলে আরও কতটা সচেতনতা আমাদের জরুরি, সমাধান সূত্রই বা কী? ডায়াবেটোলজিস্ট ডাঃ পল্লব বসুর কথায়, ২০২০-র মার্চ মাস থেকে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যেটা আমরা জীবনে কখনও দেখিনি তা হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ। ছোটদের বাইরে বেরতে দিতে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেলতে দিতে অভিভাবকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে।
তার ফলে শিশুদের মধ্যে একটা বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। কারণ করোনার আগে পর্যন্ত দিনের একটা মূল সময় তারা স্কুলে থাকত এবং সেই সময়টা তারা শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে যেমন মত বিনিময় করত, তেমনই বন্ধুদের সঙ্গেও খেলাধুলো ও গল্পগুজব করত। আবার বাড়ি ফিরেও খেলাধুলো, নাচ, গান, আঁকা শেখা, পড়াশুনো সবটাই করত । বসে থাকার সময় পেত না তারা। কিন্তু এই দু’বছর অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার ফলে বাচ্চাদের মধ্যে মোবাইল এবং টিভির অ্যাডিকশন অনেকটা বেড়ে গেছে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি প্রায় বন্ধ এবং যেটুকু রয়েছে তাও অনলাইন নির্ভর। ফলে তাদের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেছে। বসে থাকার বা বসে বসেই সবকিছু করার প্রবণতা বেড়েছে পাশাপাশি স্ক্রিন টাইম অর্থাৎ মোবাইল বা টিভিতে বা ল্যাপটপে চোখ রাখার সময়সীমা বেড়ে হয়ে গেছে দিনে আট থেকে দশঘণ্টা। এইভাবে ক্রমাগত থাকার ফলে বাচ্চাদের মধ্যে অবসাদ বাড়ছে। হয়তো তারা নিজেরাও সেটা বুঝতে পারছে না। ডিপ্রেশন হলে খুব খিদে পায়।
আরও পড়ুন-Raghunathpur Employment: রঘুনাথপুরে হবে বিপুল কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ৭২ হাজার কোটি
ফলত তারা চকোলেট, বিস্কুট, লজেন্স খেয়ে ফেলছে। বাড়ির বড়রাও ভালমন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন। যতটা তারা খাচ্ছে ততটা শারীরিক কসরত কিন্তু তাদের আর নেই। বিভিন্ন ইন্ডোর গেমের প্রতি দেখা দিচ্ছে প্রবল আসক্তি। এর জন্য অভিভাবকরাও বেশ কিছুটা দায়ী। বাচ্চা সারাদিন বোর হচ্ছে, বাবা-মায়ের সময় নেই সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর। ফলে শৈশবেই তাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন। মোবাইল অ্যাডিকশনও বেড়ে গেছে অনেকটা। এর ফলে বাচ্চাদের সবচেয়ে ক্ষতিকর যেটা হচ্ছে তা হল ওজন বৃদ্ধি। দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ বাচ্চার বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অনেকটা বেশি। ফলশ্রুতি ব্লাড সুগার। এমনিতেই এশিয়ানদের মধ্যে ব্লাড সুগার হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
াচ্চার ফ্যামিলিতে ফার্স্ট জেনারেশন এবং সেকেন্ড জেনেরেশন রিলেটিভ যাঁরা যেমন, বাবা মা, কাকা কাকিমা, পিসি পিসেমশাই যদি কারও সুগার থাকে তাহলে সেই বাড়ির বাচ্চারও ডায়াবেটিসের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।
আগে আমাদের ধারণা ছিল টাইপ টু ডায়াবেটিস শুধু চল্লিশোর্ধদেরই দেখা যায়। কিন্তু সেই ধারনা এখন অবলুপ্তির পথে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুর ওবেসিটি, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, হাই ক্যালরি লো নিউট্রিটিভ ভ্যালু রয়েছে এমন খাবারদাবার , মিষ্টি পানীয়, ফাস্ট ফুড , গ্রিলড ফুড, প্যাকেজড ফুড নিয়মিত খাওয়ার ফলে ইদানীং সাত, আট বছর বয়স থেকেই শিশুদের ডায়াবেটিস হচ্ছে। কারণ এই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট যা শিশুর শরীরে ফ্রি-রাডিকলস তৈরি করছে যা খুবই ক্ষতিকর ফলশ্রুতি মোটা হওয়া এছাড়া আর নানা শারীরিক সমস্যা।
সচেতন হন
কাজেই সচেতন হবার সময় এসছে। এর জন্য জরুরি হল প্রত্যেক দু বছর অন্তর একবার ছোটদের ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং করানো । যে যে বিষয়গুলো নজরে এলে স্ক্রিনিং করতে হবে তা হল শিশুর ফ্যাটি লিভার, ওভার ওয়েট, ফ্যামিলি হিস্ট্রি , কিশোরীদের পলিসিস্টিক ওভারি , কিছু কিছু স্থূলকায় বাচ্চার ঘাড়ের কাছে কালো ছোপ হয়। একে বলে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিক্যান । এটা অনেক সময় ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। স্কিন ট্যাগ বাচ্চার ঘাড়ে , দেহের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট চামড়া ফুলে উঠে থাক,মাঝে মাঝেই ভীষণ ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে এগুলো সবই ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
পরীক্ষা ও নিয়মানুবর্তীতা
টাইপ টু ডায়াবেটিসে এর লক্ষণ শুরুতেই বোঝা যায় না। তাই দরকার আর্লি ডায়গনোসিস। তিন ধরনের পরীক্ষা করানো যেতে পারে, ফাস্টিং ব্লাড গ্লুকোজ অর্থাৎ রাতে ডিনারের আট থেকে দশ ঘন্টা পর রক্তপরীক্ষা এবং পোস্ট প্র্যান্ডিয়াল ব্লাড গ্লুকোজ বা পিপি অর্থাৎ সকালে খাবার শুরু থেকে দুঘন্টা পর ব্লাড গ্লুকোজ পরীক্ষা ।
এর সঙ্গে আরও একটা ডায়গনোসিস হয়, যেটা হল পঁচাত্তর গ্রাম গ্লুকোজ খেয়ে রক্তপরীক্ষা করানো। খুব ছোট বাচ্চা হলে ১.৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ প্রতি কেজি ওজনের হিসেবে খাওয়াতে হবে তার দু ঘন্টা পর পরীক্ষা করতে হবে। আরো একটা টেস্ট হয়,রক্তে যেহেতু গ্লুকোজ সব সময় থাকে কিছুটা গ্লুকোজ কিন্তু আমাদের হিমোগ্লোবিনের গায় আটকে যায়। একে বলে গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন সংক্ষেপে এইচবিএওয়ানসি (HbA1c)। কাজেই দেরি না করে স্ক্রিনিং করান।এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর এবং লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খেতে হবে যা রক্তে গ্লুকোজ বাড়তে দেয়না। অল্প অল্প খাবে ,বারে বারে, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকা, শুধু যোগা নয়, হাঁটা, দৌড়নো, সাইক্লিং জাতীয় কিছু করাতে হবে। দিন রাত মিলিয়ে আটঘন্টা ঘুম, এবং পড়াশুনো বাদে বাচ্চাকে ফোন থেকে দুরে রাখতে হবে।
মন ভাল নেই
এত গেল শরীরের কথা ,কিন্তু যত সমস্যার সূত্রপাত তো মন থেকেই। শিশুরা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং নরম , কোমল হয় ফলে বর্তমান পরিস্থিতি যে তাদের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করবে তা বলাই বাহুল্য । করোনা অতিমারি ছেলেমেয়েদের তাঁদের স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে দুরে ঠেলে দিয়েছে।
প্রথম দিকে লকডাউনের সময় হঠাৎ করে ছুটির পাওয়ার আনন্দ থাকলেও যতদিন পেরিয়েছে ধীরে ধীরে ঘটনার গুরুত্ব ছোটদেরও বুঝতে অসুবিধে হয়নি। বলা হয় স্ট্রেস ,অ্যাংজাইটি ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তাহলে শিশুর মানসিক স্হিতি কতটা দায়ী টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বললেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়- করোনার কারণে শুধু স্কুলের বাচ্চা নয়, কলেজে পড়া বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদেরও পুরো জীবনটাই পাল্টে গেছে।
স্কুল ,কলেজ সম্পূর্ণ বন্ধ যা কল্পনার অতীত একটা বিষয় ছিল । একদম নতুন একটা পরিস্থিতি যেটা স্বাভাবিক ছুটি নয়, জোর করেই নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখা, যার মধ্যে কোনও আনন্দ নেই , রয়েছে ভয় এবং আতঙ্ক। রুটিন লাইফ, বন্ধু বান্ধব মেলামেশা সব প্রায় বন্ধ । সেই সঙ্গে অনেক শিশুরই জীবনেও নেমে এসছে ঝড়। তাঁদের পরিবারেরই হয়ত কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে, সিরিয়াস অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ,কারও নিকট আত্মীয় , দাদু ,দিদা এমনকী কারও কারও বাবা বা মাও মারাও গেছে।
আবার বাবা মায়ের মধ্যে যে আতঙ্ক , দুশ্চিন্তা সেটাও সন্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে।এই ভয়ঙ্কর একটা মানসিক দুশ্চিন্তা ,চাপ ছোটদেরও ভোগ করতে হয়েছে। যে মানসিক চাপ, যে পরিবর্তন নেবার জন্য তারা হয়ত কয়েকমাস আগেও প্রস্তুত ছিলনা। পড়াশুনোর সঙ্গে যোগ থাকলেও ঠিকমত হয়নি। একটা ছোট বাচ্চা স্ক্রিনের সামনে বসে থাকলেও অনলাইনে পড়ার টেকনিক বা ফোনের সামনে বসে শিক্ষকের পড়া শোনার , বোঝার দক্ষতা তার নাও থাকতে পারে ফলে অসুবিধের মধ্যে পড়তেই হয়েছে।
আর যে সব স্কুলের পক্ষে অনলাইন এডুকেশন দেওয়া সম্ভব হয়নি সেই স্কুলের বাচ্চাদের পড়াশুনোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । এর ফলে সবচেয়ে খারাপ যেটা হয়েছে, বাচ্চাদের খাওয়া ঘুমের ক্লকটাইম বদলে গেছে। বেশিরভাগ শিশুই অনেক রাতে ঘুমোচ্ছে এবং অনেক দেরি করে উঠছে। অনলাইন ক্লাসে কেউ স্কুল ড্রেস পরছে ,কেউ পরছেনা,শুয়ে শুয়ে ক্লাস করছে, ক্লাস চলতে চলতে খাচ্ছে। অত বড় ক্লাসে কে অ্যাটেন্ড করল ,কে ভিডিও অফ করে গেম খেলল ,সেটা বোঝা সম্ভব নয় কোনও টিচারের পক্ষে।
সারাদিন হাতে মোবাইল ফলত ফোনকে তারা মিস ইউজ করছে। ভুলভাল সাইটে ঢুকে পড়ছে। স্কুলের ইভেন্টে যোগদান বন্ধ, নতুন ক্লাসে যাওয়ার আনন্দ অনুভূতি থেকে তারা বঞ্চিত । ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি বন্ধ। ডিসিপ্লিনড লাইফ সম্পূর্ণ শেষ। কাজেই নিজের অজান্তেই শিশুরা অবসাদের শিকার । তাদের খাওয়া বেড়ে গেছে কারণ বোরিংনেস থেকেও খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় ফলে ওজনও বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে মেজাজ, জেদও বেড়ে গেছে। অভিভাবকরা যখন বাধা দিচ্ছেন তারা ভীষণ রেগে যাচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভায়োলেন্ট হয়ে যাচ্ছে , ভাঙচুরও করছে। আর এই বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ফলশ্রুতি হিসেবে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ছে।
ভালো থাকতে
এর সমাধান সূত্র হল আবার পুরনো রুটিনে ফিরে যাওয়া। ঘুমনো এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়টা ঠিক করে নিতে হবে বাচ্চা এবং বাবা মা উভয়কেই। নতুন করে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত করাতে হবে। বিভিন্ন ভাবে শিশুদের ব্যস্ত রাখতে হবে। তারা অনলাইন ক্লাস করতে না পারলেও একটু চেষ্টা করতে ,সেলফ লার্নিং শিখতে হবে। স্কুল টাইম মানে নিয়ম মেনেই বসতে হবে।যাদের অনলাইন ক্লাস নেই তারা বাড়িতে টেবিল চেয়ারে বসে পড়াশুনো,করলে স্কুলের সঙ্গে রিলেট করতে পারবে ।
আরও পড়ুন-Haldia Dock: হলদিয়া ডকের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল ভোটে জয়, সাফ বিজেপি
আধঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিট একটানা বসলে একটা অভ্যেস তৈরি হবে।কারণ স্কুল খোলার পর আবার নতুন করে স্কুলের সঙ্গে কোপ আপ করাটা কিন্তু বেশ কঠিন। তাই পূর্ব প্রস্তুতি বাবা মাকেই নিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে সন্তানকে। ওজন বেড়ে গেলে তাকে এক্সারসাইজ করাতে হবে। এখন লকডাউন নেই ফাকা মাঠে বাচ্চাকে নিয়ে গিয়ে দৌড়, সাইক্লিং ,খেলাধূলো শুরু করাতে হবে। বাচ্চাকে খুব ডিসটার্ব ফিল করলে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে বাবা মাকেই।
নর্মাল লাইফে আমরা যে আবার ফিরছি সেটা বোঝাতে হবে। বাবা মায়ের সাহচর্য ভীষণ জরুরী। অভিভাবকদের কোনও দুশ্চিন্তা যেন সন্তান অবধি না পৌছয়। বাচ্চাদের রিল্যাক্স ফিল করাতে হবে। মন শরীরেরই একটা অংশ তাই শিশুর মন যদি ভাল না থাকে তার থেকে শুধু ডায়াবেটিস নয় আরও নানা শারীরিক সমস্যাই দেখা দিতে পারে।